দমন: ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর
দমন, ভারতের দমন ও দিউ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের (বর্তমানে দমন ও দিউ এবং দাদরা ও নগর হাভেলির সাথে একীভূত) একটি প্রধান শহর ও জেলা সদর। এর অবস্থান ২০°২৫′ উত্তর ৭২°৫১′ পূর্ব। সমুদ্র সমতল থেকে এর গড় উচ্চতা ৫ মিটার। ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, দমনের জনসংখ্যা ছিল ৩৫,৭৪৩ জন। শহরটি দমন গঙ্গা নদী দ্বারা নানী-দমন (ছোট দমন) ও মোটি-দমন (বড় দমন) -এ দুই ভাগে বিভক্ত।
ঐতিহাসিক দিক:
৪র্থ-২য় শতাব্দী খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে মৌর্য্য যুগ থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থানীয় ও আঞ্চলিক শক্তির অধীনে ছিল দমন। ১৩শ শতাব্দীতে এটি রামনগর রাজ্যের অংশ ছিল, পরে গুজরাট সুলতানদের অধীনস্থ হয়। ১৫২৩ সালে পর্তুগিজ অধিনায়ক ডিওগো দে মেলো এক ঝড়ের সময় দমনের উপকূলে পৌঁছে যান। পর্তুগিজরা ৪০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দমন দখলে রাখে। ১৬শ শতাব্দীতে মুঘলদের বিরুদ্ধে রক্ষার জন্য মোটি-দমনে একটি দুর্গ নির্মিত হয়, যা আজও বিদ্যমান। ১৯৬১ সালের ডিসেম্বরে ভারত দমন দখল করে এবং পর্তুগিজ শাসন শেষ হয়।
জনসংখ্যা ও সাক্ষরতা:
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী দমন জেলার জনসংখ্যা ১৯১,১৭৩ জন। সাক্ষরতার হার ৮৮.০৬%।
অর্থনীতি:
দমনের অর্থনীতি মূলত কৃষি, মৎস্য ও পর্যটন নির্ভর।
পরিবেশ:
দমন উষ্ণমণ্ডলীয় সাভানা জলবায়ু অঞ্চলের অন্তর্গত। বছরের দুটি স্পষ্ট ঋতু আছে: একটি দীর্ঘ, রৌদ্রোজ্জ্বল শুষ্ক মৌসুম (অক্টোবর-মে) এবং একটি গরম, আর্দ্র, বৃষ্টিপাত সমৃদ্ধ মৌসুম (জুন-সেপ্টেম্বর)।
অন্যান্য:
দমনে ভারতীয় কোস্ট গার্ডের একটি বায়ু স্টেশন রয়েছে।