দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান বিমানবন্দর

আপডেট: ৭ জানুয়ারী ২০২৫, ৭:২৭ পিএম

দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার বর্ণনা:

২০২৪ সালের ২৯শে ডিসেম্বর, রোববার, দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জেজু এয়ারওয়েজের একটি বিমান (ফ্লাইট নম্বর 7C2216) থাইল্যান্ড থেকে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার পথে ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হয়। বিমানটিতে ১৮১ জন যাত্রী ও ক্রু সদস্য ছিলেন, যার মধ্যে দুর্ঘটনায় ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়।

দুর্ঘটনার কারণ এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে প্রাথমিক অনুমান হচ্ছে, বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ারে ত্রুটির কারণে, সম্ভবত পাখির আঘাতের ফলে, বিমানটি রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে একটি কংক্রিটের বাঁধে আঘাত করে এবং আগুন ধরে যায়।

দুর্ঘটনার পর, দক্ষিণ কোরিয়ার কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে তদন্ত শুরু করে। মুয়ান বিমানবন্দর, জেজু এয়ারের সিউল কার্যালয় এবং স্থানীয় বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষের অফিসে তদন্তকারীরা অভিযান চালায়। দুর্ঘটনার পর, দক্ষিণ কোরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি চয় সাং-মক জানান, দুর্ঘটনার কারণ নির্ণয়ের জন্য বিমানের ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করা হয়েছে।

মুয়ান বিমানবন্দরের রানওয়ের দৈর্ঘ্য নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রানওয়ের দৈর্ঘ্য যথেষ্ট ছোট হওয়ার কারণেও এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। শেষ পর্যন্ত, রানওয়েতে কংক্রিটের দেয়ালের অবস্থান নিয়েও প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।

এই দুর্ঘটনার পর, দক্ষিণ কোরিয়া সরকার দেশের সকল বিমান পরিচালনায় জরুরি নিরাপত্তা পরিদর্শন শুরু করে। বিশেষ করে, বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের বিমানগুলির ল্যান্ডিং গিয়ারের উপর বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।

মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়া গেলে এই নিবন্ধটি আপডেট করা হবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪-এ মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জেজু এয়ারওয়েজের একটি বিমান দুর্ঘটনায় ১৭৯ জন নিহত হয়।
  • বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ারের ত্রুটি, সম্ভবত পাখির আঘাতের কারণে, দুর্ঘটনার জন্য দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে।
  • দুর্ঘটনার পর, দক্ষিণ কোরিয়া সরকার ব্যাপক তদন্ত ও নিরাপত্তা পরিদর্শন শুরু করে।
  • মুয়ান বিমানবন্দরের রানওয়ের দৈর্ঘ্য এবং কংক্রিটের দেয়ালের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।