তৈরি পোশাক খাত

আপডেট: ১ জানুয়ারী ২০২৫, ১:৩৯ এএম

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প, বা আরএমজি (Ready Made Garments) শিল্প, দেশের অর্থনীতিতে এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ষাটের দশকে এর সূচনা হলেও সত্তরের দশকের শেষভাগ থেকে এটি রপ্তানিমুখী শিল্প হিসেবে বিকাশ লাভ করে। বর্তমানে এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানিমুখী শিল্প, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪২.৬১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অধিক রপ্তানি আয় অর্জন করেছে, যা মোট রপ্তানির প্রায় ৮২%। বিশ্বে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে চীনের পর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।

আরএমজি শিল্পের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা:

  • ষাটের দশক: বাংলাদেশে তৈরি পোশাক শিল্পের সূচনা।
  • সত্তরের দশকের শেষভাগ: রপ্তানিমুখী শিল্প হিসেবে উন্নয়ন শুরু।
  • আশির দশক: বৈদেশিক সাহায্য ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিল্পের সম্প্রসারণ, ইউরোপ ও আমেরিকায় রপ্তানি শুরু। দেশ গার্মেন্টসের মতো প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • নব্বইয়ের দশক: দ্রুত সম্প্রসারণ, প্রায় ২২% বার্ষিক প্রবৃদ্ধি।
  • একুশ শতক: ওভেন ও নিটিং উপখাতের বিকাশ, নিটওয়্যারের দ্রুত বৃদ্ধি, রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি (২০১৩), জিএসপি সুবিধার প্রভাব।
  • বর্তমান: প্রযুক্তি উন্নয়ন, সবুজ শিল্পায়ন, বাজার বহুমুখীকরণের চেষ্টা।

গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি:

  • নুরুল কাদের খান (দেশ গার্মেন্টস)

গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান:

  • বিজিএমইএ (Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association)
  • বিকেএমইএ (Bangladesh Knitwear Manufacturers and Exporters Association)
  • দেশ গার্মেন্টস

গুরুত্বপূর্ণ স্থান:

  • ঢাকা
  • চট্টগ্রাম
  • নারায়ণগঞ্জ
  • গাজীপুর
  • সাভার

তৈরি পোশাক শিল্পের বর্তমান অবস্থা, চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা সম্পর্কে আরো বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা হলে এই লেখাটি আরও সমৃদ্ধ হবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানিমুখী শিল্প
  • বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক
  • ৪০ লক্ষেরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থানের উৎস
  • জাতীয় অর্থনীতিতে বিশাল অবদান
  • বাজার বহুমুখীকরণের প্রয়োজনীয়তা

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - তৈরি পোশাক খাত

১ জানুয়ারী ২০২৪, ৬:০০ এএম

এই খাত ২০২৪ সালে সংকটের মধ্যে দিয়ে গেছে।