তাসলিমা খাতুন নামের একাধিক ব্যক্তি বিভিন্ন ঘটনার সাথে জড়িত। এই নামটির সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন সংবাদ থেকে তাদের সম্পর্কে কিছু তথ্য জানা যায়।
ঘটনা ১: মেহেরপুরে হত্যা
মেহেরপুর সদর উপজেলার চাঁদবিল গ্রামে তাসলিমা খাতুন (৫০-৫২ বছর বয়সী) নামে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত তাসলিমা চাঁদবিল গ্রামের বরকতুল্লার মেয়ে এবং চুয়াডাঙ্গা শহরের আব্দুল হান্নানের স্ত্রী। তার স্বামীর পরিবারের দাবি, জমি সংক্রান্ত জেরে তার ভাইয়ের ছেলেরা তাকে হত্যা করেছে। তিনি তিন বছর আগে সাংসারিক ঝামেলায় রাগ করে চুয়াডাঙ্গা থেকে মেহেরপুর চাঁদবিল গ্রামে এসে বসবাস শুরু করেছিলেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তি হিসাবে আব্দুল হান্নান (তাসলিমার স্বামী), বরকতুল্লা (তাসলিমার পিতা), এবং তাসলিমার ভাইয়ের ছেলেরা উল্লেখযোগ্য।
ঘটনা ২: যশোরের শার্শায় হত্যা
যশোরের শার্শা উপজেলার গোগা ইউনিয়নের আমলাই গ্রামে তাসলিমা খাতুন নামে এক গৃহবধূর মৃতদেহ উত্তোলন করা হয়। আদালতের নির্দেশে ৩০ অক্টোবর তার মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহত তাসলিমার স্বামী নূর আহম্মেদ। এই হত্যার ঘটনায় তার দুই ভাইপোর নাম উল্লেখ করে নূর আহম্মেদ আদালতে মামলা করেন।
ঘটনা ৩: ঢাকায় গণপিটুনি
ঢাকার উত্তর-পূর্ব বাড্ডায় ২০১৯ সালের ২০ জুলাই ছেলেধরা গুজবে তাসলিমা বেগম নামে এক নারীকে গণপিটুনি করে হত্যা করা হয়। তিনি তার মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করানোর জন্য খোঁজখবর নিতে গিয়েছিলেন। তার ৯ বছর বয়সী ছেলে তাহসিন আল মাহির এবং ৭ বছর বয়সী মেয়ে তুবা(তাসনিম মাহিরা) রয়েছে। তার মা সবুরা খাতুনও মারা গেছেন। তার ভাই এবং চার বোন তুবা ও মাহিরের খরচ দিচ্ছে। তাসলিমা ইডেন কলেজ থেকে ডিগ্রি পাস করেছিলেন এবং সরকারি তিতুমীর কলেজে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর করেছিলেন। পরে তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। তার ভাগ্নে সৈয়দ নাসির উদ্দিন হত্যা মামলা করেন। এই ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৪০০-৫০০ ব্যক্তিকে আসামী করা হয়েছে। পরে ১৫ জনকে আসামী করে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
ঘটনা ৪: রূপগঞ্জে অগ্নিদগ্ধ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গতকাল শুক্রবার রাত ১২টার দিকে অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে তাসলিমা খাতুন (৯) নামে এক শিশুর নাম উল্লেখ করা হয়।
ঘটনা ৫: খুলনায় কিডনি রোগী
এক তাসলিমা খাতুনের দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। তার বাবা ইংরেজি সংবাদপত্র নিউ নেশন-এর একজন সাংবাদিক। ২০১০ সালে বিএ পরীক্ষার সময় রেটিনাজনিত অসুস্থতায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুচিকিৎসার অভাবে চিরতরে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে তাসলিমা। তিনি খুলনার শহীদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তাসলিমা খাতুন (স্পষ্টীকরণ)
মেহেরপুরে তাসলিমা খাতুন হত্যার ঘটনা জমি বিরোধের জেরে।
যশোরে তাসলিমা খাতুন হত্যার রহস্য উদঘাটনের জন্য ময়নাতদন্ত।
ঢাকায় ছেলেধরা গুজবে তাসলিমা বেগম গণপিটুনিতে নিহত।
নারায়ণগঞ্জে অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে তাসলিমা খাতুন (৯) নামে এক শিশু।
খুলনার তাসলিমা খাতুনের দুই কিডনি নষ্ট।
বিভিন্ন তাসলিমা খাতুনের সাথে সম্পর্কিত ঘটনা, তাদের পরিচয়, স্থান, এবং জড়িত ব্যক্তিদের তথ্য।
শহীদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল
আব্দুল হান্নান, বরকতুল্লা, নূর আহম্মেদ, তাহসিন আল মাহির, তুবা (তাসনিম মাহিরা), সবুরা খাতুন, সৈয়দ নাসির উদ্দিন
মেহেরপুর, চাঁদবিল গ্রাম, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, শার্শা, গোগা ইউনিয়ন, আমলাই গ্রাম, ঢাকা, উত্তর-পূর্ব বাড্ডা, নারায়ণগঞ্জ, রূপগঞ্জ, খুলনা
তাসলিমা খাতুন, হত্যা, গণপিটুনি, অগ্নিদগ্ধ, কিডনি রোগ, জমি বিরোধ