ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ

আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:২০ এএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ (পূর্বে চারুকলা ইনস্টিটিউট নামে পরিচিত) বাংলাদেশের চারু ও কারুশিল্প শিক্ষার একটি অগ্রণী প্রতিষ্ঠান। ১৯৪৮ সালে পুরান ঢাকার জংশন রোডে ন্যাশনাল মেডিকেল স্কুলের একটি ভবনে এর যাত্রা শুরু হয়। প্রতিষ্ঠাকালে এর নাম ছিল 'গভর্নমেন্ট আর্ট ইনস্টিটিউট'। ১৯৬৩ সালে এটিকে প্রথম শ্রেণীর কলেজের মর্যাদা দেওয়া হয় এবং নামকরণ করা হয় 'বাংলাদেশ চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়'। ১৯৮৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এনে এর নামকরণ করা হয় 'চারুকলা ইনস্টিটিউট'। ২০০৮ সালে এটি অনুষদের মর্যাদা লাভ করে।

বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহবাগে অবস্থিত এই অনুষদে চার বছর মেয়াদী স্নাতক এবং দুই বছর মেয়াদী স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। এখানে ব্যবহারিক ও তাত্ত্বিক উভয় ধরণের শিক্ষাদান করা হয়। অনুষদের অধীনে আটটি বিভাগ রয়েছে: গ্রাফিক ডিজাইন, প্রাচ্যকলা, মৃৎশিল্প, অঙ্কন ও চিত্রায়ণ, ভাস্কর্য, কারুশিল্প, শিল্পকলার ইতিহাস ও ছাপচিত্র। ৫৯ জন শিক্ষক, যাদের মধ্যে অনেকেই দেশের বিশিষ্ট শিল্পী, এই অনুষদে কর্মরত। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের নামে একটি গ্যালারি, অডিটোরিয়াম ও লাইব্রেরিও রয়েছে। প্রতিটি বিভাগের জন্য আছে সুসজ্জিত ক্লাসরুম, এবং গ্রাফিক ডিজাইন বিভাগের জন্য আছে আধুনিক কম্পিউটার ল্যাব। খ্যাতনামা স্থপতি মাজহারুল ইসলাম চারুকলা ইনস্টিটিউট ভবনের নকশা করেছিলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ প্রতিবছর পহেলা বৈশাখে ঢাকা শহরের শাহবাগ-রমনা এলাকায় মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করে। এই শোভাযাত্রায় চারুকলা অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও বিভিন্ন স্তরের ও বয়সের মানুষ অংশগ্রহণ করে। ২০১৬ সালের ৩০শে নভেম্বর বাংলাদেশের মঙ্গল শোভাযাত্রা ইউনেস্কোর মানবতার অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পায়।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত
  • ৮ টি বিভাগ
  • স্নাতক ও স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম
  • মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ

২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

এখানে তিন দিনব্যাপী জয়নুল উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।