ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার

আপডেট: ৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৪৩ পিএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার: বাংলা ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিসৌধ

১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি, বাংলা ভাষা আন্দোলনের স্মরণে নির্মিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার বাংলাদেশের সর্বত্র শ্রদ্ধার প্রতীক। ঢাকা মেডিকেল কলেজের বহিঃপ্রাঙ্গণে অবস্থিত এই স্মৃতিসৌধটি বাংলাদেশের জাতীয় ঐক্য ও ভাষার জন্য আত্মত্যাগীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের স্থান হিসেবে পরিচিত। প্রতিবছর ২১শে ফেব্রুয়ারি, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে, হাজার হাজার মানুষ এখানে সমবেত হয় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে।

শহীদ মিনারের ইতিহাস:

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পর, ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্ররা তৎক্ষণাৎ একটি অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করেছিলেন। তবে, পুলিশ কর্তৃক ধ্বংসের পর, বারবার শহীদ মিনার নির্মাণ ও ধ্বংসের ঘটনা ঘটে। ১৯৫৭ সালে বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়ার পর, স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণের কাজ শুরু হয়। বিখ্যাত ভাস্কর হামিদুর রহমানের নকশায় নির্মিত এই শহীদ মিনারটি ১৯৬৩ সালে উদ্বোধন করা হয়।

স্থাপত্য ও গুরুত্ব:

শহীদ মিনারটি সরল, স্মৃতিময় ও স্থাপত্যের দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর স্থাপত্যশৈলীতে আনত মাথার প্রতীক, যা ভাষা আন্দোলনের গভীর দুঃখ ও শোককে প্রতিফলিত করে। শহীদ মিনারের নির্মাণে ব্যবহৃত সাদা পাথর ও এর সামনে উন্মুক্ত চত্বর তথা স্থাপত্য গুরুত্বপূর্ণ।

বর্তমান অবস্থা:

বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শহীদ মিনারের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করে। এলাকাটির উন্নয়ন ও পরিচর্যা নিয়মিতভাবে চলছে যদিও ২১শে ফেব্রুয়ারি ব্যতীত অন্যান্য সময়ে এটি অবহেলায় পড়ে থাকে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিসৌধ
  • ঢাকা মেডিকেল কলেজের পাশে অবস্থিত
  • প্রতি বছর ২১শে ফেব্রুয়ারি শ্রদ্ধা নিবেদন
  • বিখ্যাত ভাস্কর হামিদুর রহমানের নকশা
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক রক্ষণাবেক্ষণ

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।