ডোকলাম

আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯:৫১ এএম

ডোকলাম: ভারত, ভুটান ও চীনের ত্রিমুখী সীমান্তে অবস্থিত একটি বিতর্কিত মালভূমি অঞ্চল। এই অঞ্চলটি ভৌগোলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে দেশের মূল ভূখণ্ডের সংযোগকারী শিলিগুড়ি করিডোরের নিকটবর্তী। ডোকলামের ভৌগোলিক অবস্থান কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি উত্তর-পূর্ব ভারতকে রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ঐতিহাসিকভাবে, ডোকলাম ভুটানের অধীনে ছিল বলে দাবি করা হয়। তবে চীন এই অঞ্চলের উপর দাবী করে, যা ভারত ও ভুটান প্রত্যাখ্যান করে। ২০১৭ সালে, চীনের সেনাবাহিনী ডোকলামে একটি সড়ক নির্মাণ শুরু করলে উত্তেজনা বেড়ে যায়। এই ঘটনার ফলে ভারত ও ভুটান চীনের এই পদক্ষেপে বাধা দেয় এবং উত্তেজনা দীর্ঘ স্থায়ী হয়। দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে।

ডোকলামের জনসংখ্যা নিয়ে কোনও স্পষ্ট তথ্য নেই, কারণ এটি মূলত একটি পাহাড়ি ও অপেক্ষাকৃত জনবসতিহীন এলাকা। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে, এই এলাকায় প্রাথমিকভাবে কৃষিকাজ ও পশুপালনই প্রধান।

ডোকলাম বিখ্যাত হয়েছে ২০০৭ সালের ভারত-চীন সংঘাতের কারণে। এই সংঘাত ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্ত বিতর্কের ধারাবাহিকতারই একটা অংশ। এই ঘটনা ভারত ও চীনের মধ্যে সামরিক ও কূটনৈতিক উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।

ডোকলামের ভবিষ্যৎ এখনো অনিশ্চিত। এই অঞ্চল নিয়ে ভারত, চীন ও ভুটানের মধ্যে কূটনৈতিক আলোচনা চলছে। অনেকেই আশা করছেন এই দ্বন্দ্ব শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকে এগোবে। তবে এ বিষয়ে আরও তথ্য প্রয়োজন, যা পাওয়া গেলে আমরা আপনাদের সাথে আপডেট করে রাখব।

মূল তথ্যাবলী:

  • ডোকলাম ভারত, ভুটান ও চীনের ত্রিমুখী সীমান্তে অবস্থিত একটি বিতর্কিত মালভূমি।
  • এটি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাথে দেশের মূল ভূখণ্ডের সংযোগকারী শিলিগুড়ি করিডোরের কাছে অবস্থিত।
  • ঐতিহাসিকভাবে ভুটানের অধীনে ছিল বলে দাবি করা হয়, কিন্তু চীন এর উপর দাবি করে।
  • ২০১৭ সালে চীনের সড়ক নির্মাণের চেষ্টার ফলে ভারত ও ভুটানের সাথে সংঘর্ষ হয়।
  • এই অঞ্চলের জনসংখ্যা কম এবং কৃষিকাজ ও পশুপালন প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।