ডিএনএ ল্যাবরেটরি ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য:
বাংলাদেশে ডিএনএ ল্যাবরেটরি ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে কার্যকরী একটি অধিদপ্তর। এটি মূলত ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ, বিশ্লেষণ এবং নমুনা নিয়ন্ত্রণের কাজে নিয়োজিত। ২০১৪ সালে পাস হওয়া ‘ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড (ডিএনএ) আইন’ এবং ২০১৮ সালের ‘ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড (ডিএনএ) বিধিমালা’ অনুসারে অধিদপ্তরটি পরিচালিত হয়। ৯ আগস্ট, ২০২০ তারিখে এই অধিদপ্তরের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।
অধিদপ্তরের উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম:
- অপরাধ তদন্তে সহায়তা:
ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে অপরাধী শনাক্তকরণ, ধর্ষণ, হত্যা, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অপরাধের তদন্তে সহায়তা প্রদান।
- পিতৃত্ব ও মাতৃত্ব নির্ধারণ:
ডিএনএ পরীক্ষা করে পিতৃত্ব ও মাতৃত্ব নির্ধারণে সহায়তা।
- অভিবাসন:
বিদেশে অভিবাসনের জন্য প্রয়োজনীয় ডিএনএ পরীক্ষা।
- ব্যক্তি শনাক্তকরণ:
দুর্যোগ, দুর্ঘটনা, বা অন্যান্য কারণে নিখোঁজ ও মৃত ব্যক্তিদের পরিচয় নির্ণয়।
- বংশগতীয় তথ্য:
বংশগতীয় তথ্য নির্ধারণ ও সম্পর্ক নির্ণয়।
অধিদপ্তরের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান:
- ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরি (NFDPL): ঢাকা মেডিকেল কলেজে অবস্থিত। এটি দেশের প্রথম ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরি। মূলত মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রামের আওতায় প্রতিষ্ঠিত হয়।
- বিভাগীয় ডিএনএ স্ক্রীনিং ল্যাবরেটরি:
দেশের ৮টি বিভাগীয় শহরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অবস্থিত।
অধিদপ্তরের কার্যক্রমের প্রভাব:
২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকান্ড, রানা প্লাজা ধ্বস, এবং তাজরীন ফ্যাশনস অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মৃতদেহ শনাক্তকরণে ডিএনএ পরীক্ষার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। এছাড়াও, মাল্টিসেক্টরাল প্রকল্পের অধীনে ৭৪১০ টিরও বেশি মামলায় ২৩,৫৩৩ টি নমুনার ডিএনএ প্রোফাইলিং করা হয়েছে।
অধিদপ্তরের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:
ভবিষ্যতে অধিদপ্তরের কার্যক্রম আরও ব্যাপক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। জাতীয় ডিএনএ ডাটাবেইজ প্রতিষ্ঠা ও প্রযুক্তি উন্নয়নে কাজ চলছে।
উল্লেখ্য, এই তথ্য সম্প্রতি প্রাপ্ত তথ্যের উপর নির্ভরশীল। ভবিষ্যতে আরও তথ্য উপলব্ধ হলে এই লেখা আপডেট করা হবে।