ড. মো. ফয়জুল হক: একজন বহুমুখী ব্যক্তিত্ব
প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, "ড. মো. ফয়জুল হক" নামটি দুইজন ব্যক্তিকে নির্দেশ করতে পারে। তাই স্পষ্টতার জন্য তাদের পৃথকভাবে আলোচনা করা হলো:
১. সৈয়দ ফয়জুল করিম:
সৈয়দ ফয়জুল করিম (জন্ম: ১০ জানুয়ারি ১৯৭৩) একজন বাংলাদেশী ইসলামি পণ্ডিত, রাজনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদ। তিনি শায়েখে চরমোনাই নামেও পরিচিত। বর্তমানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর। তিনি বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি ও বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ডের সহ-সভাপতি এবং বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য। ছাত্রজীবনে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য ছিলেন (১৯৯৩-৯৪)। ২০২০ সালে ভাস্কর্য বিতর্কে তিনি ব্যাপক আলোচিত হন।
তিনি বরিশাল জেলার চরমোনাই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম সৈয়দ ফজলুল করিম এবং দাদা সৈয়দ মুহাম্মদ ইসহাক। তিনি চরমোনাই জামিয়া রশিদিয়া ইসলামিয়া থেকে শিক্ষাজীবনের সূচনা করেন এবং ১৯৯৫ সালে কামিল পাশ করেন। বরিশালের সাগরদী ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে ফিকহ ও হাদিসে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়ায়ও কিছুদিন পড়াশোনা করেন।
শিক্ষাজীবন শেষে চরমোনাই জামিয়া রশিদিয়া ইসলামিয়ার আলিয়া শাখার শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। পরে দীর্ঘদিন আলিয়া ও কওমি উভয় শাখার সহকারী অধ্যক্ষ ছিলেন। ২০০৬ সালের ২৫ নভেম্বর পিতার মৃত্যুর পর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে দেওয়া বক্তব্য এবং ২০২০ সালের ভাস্কর্য বিতর্কে দেওয়া বক্তব্যের জন্য আলোচিত হন।
২. আবুল কালাম ফয়জুল হক (এ কে ফয়জুল হক):
আবুল কালাম ফয়জুল হক (১৫ মার্চ ১৯৪৪–১৯ জুলাই ২০০৭), এ কে ফয়জুল হক নামে পরিচিত, ছিলেন একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদ, যিনি সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন এবং শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের একমাত্র পুত্র।
তিনি সেন্ট গ্রেগরী উচ্চ বিদ্যালয় এবং নটর ডেম কলেজ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বিএ ও এমএ এবং সেন্ট্রাল ল’ কলেজ থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ঢাকার নটর ডেম কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত ছিলেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধকালীন তিনি পাকিস্তান সরকারের পক্ষে বিবৃতি দিয়েছিলেন এবং পরে দালাল আইনে গ্রেপ্তার হন। ১৯৭৯ সালে বিএনপি প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং আব্দুস সাত্তারের মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে আবারও আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ১৯৯৬ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। তিনি ২০০৭ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
যেহেতু প্রদত্ত তথ্য সীমিত, ড. মো. ফয়জুল হক সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানার জন্য আমরা আপনাকে পরবর্তীতে আরও তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব।