টোল আদায়

আপডেট: ২ জানুয়ারী ২০২৫, ৬:১৯ এএম

পদ্মা সেতু ও চট্টগ্রামের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে: টোল আদায়ের বর্তমান অবস্থা

বাংলাদেশে দুটি উল্লেখযোগ্য প্রকল্প, পদ্মা সেতু এবং চট্টগ্রামের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, টোল আদায়ের মাধ্যমে তাদের নির্মাণ ব্যয় পূরণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের অর্থ সংগ্রহ করে চলেছে।

পদ্মা সেতু: ২০২২ সালের ২৫শে জুন যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ) পদ্মা সেতু থেকে টোল আদায় করে আসছে। ২০২৪ সালে বিবিএ এই সেতু থেকে ৮৩৮.৫৬ কোটি টাকা আয় করেছে, যা ৬৭ লাখ ৩৬ হাজার ৪৭৮টি যানবাহন থেকে আদায় করা হয়েছে। সেতুর উদ্বোধনের পর থেকে মোট ২ হাজার ৬১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা আয় হয়েছে ১ কোটি ৫৮ লাখ ৮ হাজার ৯৬৮টি যানবাহন থেকে। বিবিএ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত ঋণ পরিশোধের জন্য ১০ কিস্তিতে ১ হাজার ৫৭৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা অর্থ বিভাগকে পরিশোধ করেছে। ২০২৩ সালের ৫ এপ্রিল রাজস্ব থেকে পদ্মাসেতু নির্মাণের জন্য নেয়া ঋণ পরিশোধ শুরু হয়। বিবিএ সাধারণত প্রতি অর্থবছরে চারটি কিস্তিতে, প্রতি কিস্তিতে ১৫৭ কোটি ৭১ কোটি টাকা সরকারকে প্রদান করে থাকে। ২০২৪ সালের ১৪ জুন একদিনে সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা টোল আদায় হয়েছিল, যখন ৪৪ হাজার ৩৩টি যানবাহন সেতু অতিক্রম করেছিল।

চট্টগ্রামের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে: চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ২০২৪ সালের অগাস্টের শেষ সপ্তাহ থেকে যান চলাচল শুরু হলেও ২০২৫ সালের ৩ জানুয়ারী থেকে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) টোল আদায় শুরু করে। পতেঙ্গা প্রান্তে চারটি টোল প্লাজা স্থাপন করা হয়েছে। টোলের হার যানবাহনের ধরনের উপর নির্ভর করে ৩০ টাকা (সিএনজি অটোরিকশা) থেকে ৪৫০ টাকা (কাভার্ড ভ্যান) পর্যন্ত। এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল ও ট্রেইলার চলাচল নিষিদ্ধ। এই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ৪ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।

উল্লেখ্য, এই টোল আদায়ের সময়কাল এবং টাকার ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আরও খোলাসা করা প্রয়োজন। আমরা ভবিষ্যতে এই বিষয় সম্পর্কে আপনাকে আরও তথ্য প্রদান করব।

মূল তথ্যাবলী:

  • ২০২৪ সালে পদ্মা সেতু থেকে ৮৩৮.৫৬ কোটি টাকা টোল আয় হয়েছে।
  • চট্টগ্রামের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ২০২৫ সালের ৩ জানুয়ারী থেকে টোল আদায় শুরু।
  • পদ্মা সেতুর ঋণ পরিশোধের জন্য টোল আয় ব্যবহৃত হচ্ছে।
  • চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়েতে টোলের হার যানবাহনের ধরণ অনুযায়ী ৩০ থেকে ৪৫০ টাকা।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।