টেলর অ্যালিসন সুইফট (ইংরেজি: Taylor Alison Swift), সংগীত জগতের এক অসাধারণ তারকা, ১৩ ডিসেম্বর ১৯৮৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার ওয়েস্ট রিডিং-এ জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই সংগীতের প্রতি তার অদম্য আগ্রহ ছিল। মাত্র ১১ বছর বয়সে তিনি তার প্রথম গান রচনা করেন এবং তারপর থেকে ক্রমাগত সংগীতের সাথে জড়িত থাকেন।
২০০৬ সালে তিনি তার প্রথম অ্যালবাম "Taylor Swift" প্রকাশ করেন, যা রেকর্ডিং ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন অফ আমেরিকা কর্তৃক প্লাটিনাম প্রত্যায়ন লাভ করে। এর পরপরই তিনি কান্ট্রি সংগীতের দুনিয়ায় ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেন। "Tim McGraw" নামক তার প্রথম একক গান বিলবোর্ড চার্টে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পায়। ২০০৮ সালে প্রকাশিত তার দ্বিতীয় অ্যালবাম "Fearless" বিশাল জনপ্রিয়তা অর্জন করে এবং বিলবোর্ড ২০০ চার্টে ১১ সপ্তাহ শীর্ষস্থান ধরে রাখে। ২০০৯ সালে বিলবোর্ড তাকে বর্ষসেরা শিল্পী হিসেবে ঘোষণা করে। "Fearless" অ্যালবামটি ২০১০ সালে গ্র্যামি পুরস্কারও অর্জন করে।
তার পরবর্তী অ্যালবামগুলো যেমন "Red", "1989", "Reputation", "Lover", "folklore", "evermore", "Midnights" প্রকাশের সাথে সাথে টেলর সুইফট আরও ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেন। তার সংগীত শুধু আমেরিকাতেই নয়, বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়। তিনি একজন প্রতিভাবান গায়ক-গীতিকার ছাড়াও একজন সফল রেকর্ড প্রযোজক এবং অভিনেত্রী। তার গানে তিনি প্রেম, হতাশা, জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন, যা শ্রোতাদের কাছে তাকে আরও প্রিয় করে তোলে।
টেলর সুইফটের গান লেখার দক্ষতা অনন্য। তিনি তার ব্যক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতা, সম্পর্ক, আবেগ এবং বিভিন্ন অনুভূতিকে তার গানে মিশ্রিত করেন। তার গানের কথা এবং সুর তাকে অনন্য করে তুলেছে। তিনি তার সংগীতের মাধ্যমে কোটি কোটি মানুষের অন্তরে স্থান করে নিয়েছেন।
তার "Eras Tour" কনসার্ট সফর বিশ্বজুড়ে প্রচুর সাফল্য পেয়েছে, যার মধ্যে অনেক ছোট ছোট শহরে কনসার্ট করে সেই শহর গুলোকেও বিশ্বের নজরে আনার কাজ করেছেন। তিনি শুধু একজন গায়িকা নন, তিনি একজন প্রেরণাদায়ক ব্যক্তিত্ব। তার বহুমুখী প্রতিভা এবং অসাধারণ সাফল্যের জন্য তিনি বিশ্বব্যাপী প্রশংসা পেয়েছেন।