টেনিস: একটি আধুনিক ক্রীড়ার ইতিহাস ও বর্তমান অবস্থা
টেনিস বর্তমান বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ও প্রতিযোগিতামূলক ক্রীড়া। র্যাকেট, বল ও জাল নিয়ে খেলাটি দুই বা চারজন খেলোয়াড়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। উইম্বলডন চ্যাম্পিয়নশিপ, অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, ফ্রেঞ্চ ওপেন এবং ইউএস ওপেন - টেনিসের চারটি বৃহৎ গ্র্যান্ড স্ল্যাম প্রতিযোগিতা। এই খেলার ইতিহাস বেশ দীর্ঘ, এর উৎপত্তি মধ্যযুগীয় ফ্রান্সে 'জ্যু দে পাম' নামক খেলা থেকে। আধুনিক টেনিসের আবির্ভাব ১৯ শতকে ইংল্যান্ডে। মেজর ওয়াল্টার উইংফিল্ড ১৮৭৩ সালে 'স্ফায়ারিস্টিকে' নামক খেলা উদ্ভাবন করেন, যা পরবর্তীতে লন টেনিস নামে পরিচিত হয়।
আধুনিক টেনিসের বিভিন্ন দিক:
খেলার মাঠ: টেনিস কোর্ট ৭৮ ফুট লম্বা এবং ২৭(একক) বা ৩৬(জুটি) ফুট চওড়া। মাঠের মাঝখানে জাল ৩ ফুট উঁচু।
খেলার নিয়ম: খেলায় পয়েন্টের ক্রম ০, ১৫, ৩০, ৪০। ৪০-এর পর পয়েন্ট পেলে গেম জিতা হয়। একটি সেট জেতার জন্য কমপক্ষে ৬ গেম জিততে হয়, এবং প্রতিপক্ষের চেয়ে কমপক্ষে ২ গেম বেশি জিততে হয়। সেট সমান হলে টাইব্রেকার হয়।
খেলোয়াড়দের দক্ষতা ও সরঞ্জাম: টেনিস খেলায় র্যাকেটের ধরণ, বলের গুণমান ও খেলোয়াড়দের দক্ষতার একটা বিশাল ভূমিকা থাকে। বিখ্যাত খেলোয়াড়দের মধ্যে রয়েছেন রাফায়েল নাদাল, রজার ফেদেরার, নোভাক জকোভিচ, সেরেনা উইলিয়ামস, স্টেফি গ্রাফ, মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা, ইত্যাদি।
টেনিসের প্রভাব ও জনপ্রিয়তা: আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ডেভিস কাপ, ফেড কাপ ও অলিম্পিকসহ বহু টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। টেনিস একটি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় দর্শক ক্রীড়াও বটে। এর প্রতিযোগিতামূলক দিক ও দর্শকদের আকর্ষণের কারণে এটি আর্থিকভাবেও অত্যন্ত সফল।
বাংলাদেশে টেনিস: বাংলাদেশেও টেনিস জনপ্রিয়তা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশন ১৯৭২ সালে গঠিত হয় এবং এই ক্রীড়ার উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে আসছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজনের মাধ্যমে টেনিসের প্রসার ঘটানো হচ্ছে।