টিম ডাইসন

লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সের জনসংখ্যাবিদ টিম ডাইসন বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতের জনসংখ্যা হ্রাসের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, এক বা দুই দশক পর "প্রজনন হার খুব কম থাকলে জনসংখ্যা দ্রুত কমবে।" নারী প্রতি জন্মের হার ১.৮ ধীরগতিতে, পরিচালনাযোগ্য জনসংখ্যা হ্রাসের দিকে দেশকে পরিচালিত করে। কিন্তু ১.৬ বা তার কম জন্মহারের ক্ষেত্রে জনসংখ্যা দ্রুত ও নিয়ন্ত্রণহীন হারে কমে যেতে পারে। "সেক্ষেত্রে অল্প সংখ্যক লোক উৎপাদনশীল ও কর্মক্ষম বয়সে প্রবেশ করবে। এটা সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যয়কর হবে। কারণ এটা একটা জনসংখ্যাতাত্ত্বিক প্রক্রিয়া এবং এর উল্টে দেওয়া খুবই কঠিন।" ডাইসনের মতে, ক্রমহ্রাসমান প্রজনন ক্ষমতা ঠেকাতে না পেরে উন্নত দেশগুলো স্বাস্থ্যকর ও সক্রিয় বার্ধক্যের দিকে মনোনিবেশ করছে। তারা কর্মজীবন পাঁচ থেকে সাত বছর বাড়ানো এবং বয়স্ক জনগোষ্ঠীর উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির মতো পদক্ষেপ নিয়েছে। ডাইসন ভারতের জন্যও একই ধরণের পদক্ষেপের পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে, সামাজিক পরিবর্তনের কথা বিবেচনা করলে, জীবনধারণের দিক থেকে নারীরা পুরুষদের সমকক্ষ হয়ে ওঠার ফলে লিঙ্গ বৈষম্য উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সাম্প্রতিক প্রবণতার উল্টো হওয়ার সম্ভাবনা কম।

মূল তথ্যাবলী:

  • টিম ডাইসন লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সের জনসংখ্যাবিদ।
  • ডাইসন ভারতের কম প্রজনন হারের বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করেছেন।
  • তিনি জনসংখ্যা হ্রাসের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রভাবের কথা উল্লেখ করেছেন।
  • ডাইসন কর্মজীবন বৃদ্ধি ও বয়স্কদের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

গণমাধ্যমে - টিম ডাইসন

তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘এক বা দুই দশক পর প্রজনন হার খুব কম থাকলে জনসংখ্যা দ্রুত কমবে।’