মানুষের বার্ধক্য রোধ ও দীর্ঘায়ু নিয়ে বিজ্ঞানীদের গবেষণার নতুন আশার আলো দেখা দিয়েছে টারিটোপসিস ডোরনি নামক একটি বিশেষ জেলিফিশের আবিষ্কারের মাধ্যমে। ‘অমর জেলিফিশ’ নামেও পরিচিত এই জীবটি তার বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে উল্টে দিতে পারে। ১৮৮৩ সালে ভূমধ্যসাগরে প্রথম আবিষ্কৃত হলেও বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন মহাসাগরে এটি পাওয়া যায়। টারিটোপসিস ডোরনি সাধারণ জেলিফিশের মতোই জন্ম নেয় ও বিকাশ লাভ করে। কিন্তু পরিবেশগত চাপ বা আঘাতের সম্মুখীন হলে এটি একটি অসাধারণ ক্ষমতা প্রদর্শন করে: এটি তার জীবনচক্রকে প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থা থেকে লার্ভা পর্যায়ে ফিরিয়ে নিতে পারে। এই প্রক্রিয়াকে ট্রান্সডিফারেনশিয়ান বলা হয়, যেখানে জেলিফিশ তার কোষগুলোকে নতুনভাবে রূপান্তরিত করে। এইভাবে এটি নতুন করে জীবন শুরু করতে পারে এবং তাত্ত্বিকভাবে এই চক্র অনির্দিষ্টকাল ধরে চলতে পারে। বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, এই জেলিফিশের রহস্য উন্মোচন করলে বার্ধক্য রোধ, ক্যান্সার ও অন্যান্য জটিল রোগের নতুন ওষুধ আবিষ্কারের পথ উন্মোচিত হতে পারে। এই গবেষণা মানবজীবনের আয়ু বৃদ্ধি ও বার্ধক্যজনিত রোগের চিকিৎসায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
টারিটোপসিস ডোরনি
মূল তথ্যাবলী:
- টারিটোপসিস ডোরনি: বার্ধক্য উল্টে দিতে পারে এমন একটি জেলিফিশ।
- ১৮৮৩ সালে ভূমধ্যসাগরে আবিষ্কৃত।
- ট্রান্সডিফারেনশিয়ান প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জীবনচক্র পুনরায় শুরু করে।
- বার্ধক্য রোধ ও ক্যান্সারের চিকিৎসায় গবেষণার নতুন সম্ভাবনা।