টনি ক্রুস: জার্মান ফুটবলের এক অসাধারণ মেধাবী তারকা
টনি ক্রুস (জন্ম: ৪ জানুয়ারি ১৯৯০) জার্মান ফুটবলের ইতিহাসে সর্বকালের অন্যতম সেরা মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে তিনি স্পেনের লা লিগার দল রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলছেন। তার অসাধারণ পাসিং, দূর থেকে শট নেওয়ার দক্ষতা, ফ্রি কিক ও কর্নারের নিখুঁত নিয়ন্ত্রণ তাকে অনন্য করে তুলেছে।
জার্মানির গ্রাইফসভাল্ডে জন্ম নেওয়া টনি ক্রুস তার খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেছিলেন গ্রাইফসভাল্ডার যুব দল থেকে। পরবর্তীতে তিনি হান্সা রস্টক এবং বায়ার্ন মিউনিখের যুব দলে খেলেছেন। ২০০৭-০৮ মৌসুমে বায়ার্ন মিউনিখ ২-এর হয়ে জ্যেষ্ঠ পর্যায়ে অভিষেকের পর, তিনি দ্রুত বায়ার্ন মিউনিখের প্রথম দলে স্থান করে নেন এবং ৬ মৌসুমে ২০৫ ম্যাচে ২৫টি গোল করেছেন। বায়ার্ন মিউনিখের সাথে তিনি ৩টি বুন্দেসলিগা শিরোপা এবং ১টি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জিতেছেন। মাঝে কিছু সময় ধারে বায়ার লেভারকুজেনের হয়েও তিনি খেলেছেন। ২০১৪-১৫ মৌসুমে প্রায় ২৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে তিনি রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে টনি ক্রুস জার্মানির হয়ে ১০৭ ম্যাচে ১৭টি গোল করেছেন। তিনি ২০১০, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের ফিফা বিশ্বকাপ এবং ২০১২, ২০১৬ এবং ২০২০ সালের উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে জার্মানির প্রতিনিধিত্ব করেছেন। বিশেষ করে ২০১৪ সালে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত ফিফা বিশ্বকাপে তিনি চমৎকার খেলে জার্মানির বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম কারণ হয়ে ওঠেন।
ব্যক্তিগত পুরস্কারের দিক থেকে, ২০০৭ ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল জয়, ২০১৪ সালে বর্ষসেরা জার্মান খেলোয়াড় এবং ২০১৮ সালে বর্ষসেরা জার্মান ফুটবল খেলোয়াড় পুরষ্কার লাভ তার উল্লেখযোগ্য সাফল্য। দলগতভাবে তিনি ২৩ টি শিরোপা জয় করেছেন, যার মধ্যে ৯টি বায়ার্ন মিউনিখের সাথে, ১৩টি রিয়াল মাদ্রিদের সাথে এবং ১টি জার্মানির সাথে।
টনি ক্রুসের ভাই ফেলিক্স ক্রুসও একজন পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়। তার বাবা রোলান্ড ক্রুস হান্সা রস্টক যুব দলের প্রশিক্ষক ছিলেন। টনি ক্রুস ২০২০ সালে জার্মানির হয়ে ১০০ তম ম্যাচ খেলেছেন। তিনি জেসুকা ফারবারের সাথে বিবাহিত এবং তাদের তিনটি সন্তান রয়েছে। তার মায়োর্কা দ্বীপে একটি বাড়ি আছে।