ঝিনাইদহের মহেশপুর: একটি ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সমন্বয়
ঝিনাইদহ জেলার একটি প্রশাসনিক উপজেলা হল মহেশপুর। ৪১৯.৫৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই উপজেলা উত্তরে কোটচাঁদপুর ও জীবননগর, দক্ষিণে চৌগাছা ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, পূর্বে চৌগাছা এবং পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তে অবস্থিত। মহেশপুর ১২টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত: এসবিকে, ফতেপুর, পান্তাপাড়া, স্বরুপপুর, শ্যামকুড়, নেপা, কাজিরবেড়, বাঁশবাড়িয়া, যাদবপুর, নাটিমা, মান্দারবাড়ীয়া এবং আজমপুর। মহেশপুর শহরটি ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। ১৯৮৩ সালে মহেশপুর থানা উপজেলায় পরিণত হয়।
ঐতিহাসিক গুরুত্ব:
কপোতাক্ষ নদীর তীরে অবস্থিত মহেশপুরের আদিনাম ছিল যোগীদহ। ১১০৭ সালে হিন্দু দেবতা মহেশ্বরের নামে মন্দির প্রতিষ্ঠার পর নাম হয় মহেশপুর। জনশ্রুতি অনুসারে, রাজা মহেশ চন্দ্র অথবা কৈবর্ত রাজা 'মহেশ'-এর নামানুসারেও এই নামকরণ হতে পারে। মহেশপুর একসময় ভারতের বনগাঁও মহকুমার অংশ ছিল; ১৯৪৭ সালে ঝিনাইদহ মহকুমার অন্তর্ভুক্ত হয়। 'খাদ্যভাণ্ডার' বা 'রত্নভাণ্ডার' হিসেবেও পরিচিত এই উপজেলা।
যোগাযোগ ব্যবস্থা:
বাস ও সড়কপথে মহেশপুরে যাতায়াত করা যায়। খালিশপুর হয়ে এটি আঞ্চলিক মহাসড়কের সাথে যুক্ত। কোটচাঁদপুর রেলস্টেশন হয়ে এটি রেলপথে দেশের অন্যান্য স্থানের সাথে সংযুক্ত।
সাম্প্রতিক ঘটনা:
২০২৫ সালের ৮ জানুয়ারী ৫৮ বিজিবি মহেশপুর সীমান্তে বাঘাডাঙ্গা, পলিয়ানপুর, খোশালপুর এলাকা থেকে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় ২৪ জনকে (৬ নারী, ১৩ পুরুষ ও ৫ শিশু) আটক করে। এছাড়াও, মহেশপুর ৫৮ বিজিবি কোদলা (অন্যত্র কোদালিয়া নামেও উল্লেখিত) নদীর ৫ কিলোমিটার এলাকা ভারতের কবল থেকে উদ্ধার করেছে। এই নদীর ৪.৮ কিলোমিটার অংশ ১৯৬১ সালের বাংলাদেশ-ভারত মানচিত্র অনুযায়ী বাংলাদেশের অধীনে, কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ভারতের বিএসএফ এর দখলে ছিল। বিজিবি'র এই উদ্যোগ স্থানীয় জনগণের জন্য নদী ব্যবহারে সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
উল্লেখ্য, উপজেলার বিস্তারিত জনসংখ্যাগত ও অর্থনৈতিক তথ্য এখানে সীমিত। আমরা পরবর্তীতে আরও তথ্য যোগ করে এই লেখা আপডেট করবো।