ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি নিয়ে সম্প্রতি ব্যাপক উত্তেজনা ও দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। নতুন কমিটি গঠনের তোড়জোড়ের মধ্যে দলের দুটি ধারার মধ্যে সংঘাত প্রকাশ্যে এসেছে। গত দুদিনের মধ্যে দলের অন্তত ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয় এবং পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ মিছিলের ঘটনা ঘটে।
এই দ্বন্দ্বের মূলে রয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া। জেলায় পদ-পদবি ও নিজেদের প্রভাব দেখানোর জন্য নেতারা বিভিন্ন সভা-সমাবেশে ব্যস্ত। একটি এমন ঘটনা ঘটেছে হরিণাকুন্ডু উপজেলার লালন বাজারে, যেখানে জেলা বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ ইব্রাহিম রহমান বাবুর উদ্যোগে এক জনসভায় হরিণাকুন্ডু থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তাইজাল হোসেন এবং জোড়াদহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাজেদুর রহমান রনির লোকজন হামলা করে ১০ জন নেতাকর্মীকে আহত করে। ডাঃ বাবু জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদকে এই হামলার জন্য দায়ী করেছেন।
শুক্রবার রাতে এম এ মজিদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিএনপি, যুবদল এবং ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করে। এম এ মজিদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন যে, হরিণাকুন্ডুতে কোনও বিএনপির সমাবেশ ছিল না এবং ডাঃ বাবু নিজেরাই কার্যালয়ে ভাঙচুর করে অন্যের উপর দোষ চাপাচ্ছেন। ঝিনাইদহ জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছেন যে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির বর্তমান অবস্থা চরম উত্তেজনার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপের জন্য দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা আহ্বান জানিয়েছেন। এই ঘটনার বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাওয়ার সাথে সাথেই আমরা আপনাদের জানিয়ে দেব।