জোহেন্সবার্গ

জোহানেসবার্গ: দক্ষিণ আফ্রিকার হৃৎপিণ্ড

জোহানেসবার্গ (/dʒoʊˈhænɪsbɜːrɡ/), দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বৃহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ শহর। গাটেং প্রদেশের অঘোষিত রাজধানী হিসেবে পরিচিত, এটি দেশের অর্থনৈতিক কেন্দ্রবিন্দু। ১৮৮৬ সালে সোনার খনি আবিষ্কারের পর শহরটির উত্থান ঘটে। মাত্র ১০ বছরের মধ্যেই এখানে ১ লক্ষের অধিক লোকের বসতি গড়ে ওঠে। বিশাল জনসংখ্যার কারণে, জোহানেসবার্গের জনসংখ্যা ঘনত্ব বেশ উল্লেখযোগ্য, প্রতি বর্গকিলোমিটারে ২৩৬৪ জনেরও বেশি। ২০১১ সালের তথ্য অনুযায়ী, জোহানেসবার্গ শহরের জনসংখ্যা ছিল ৪,৪৩৪,৮২৭ এবং মেট্রোপলিটান এলাকার জনসংখ্যা ৭,৮৬০,৭৮১। ১৯৯৪ সালে সোয়েটো জোহানেসবার্গের সাথে যুক্ত হয়, যা শহরের আকার আরও বিশাল করে তোলে। জোহানেসবার্গ শুধু জনসংখ্যায় নয়, অর্থনীতিতেও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রভাবশালী শহর। এখানে অসংখ্য খনি, শিল্প কারখানা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ব্যবসায়িক কেন্দ্র বিদ্যমান।

ঐতিহাসিক দিক থেকে, জোহানেসবার্গ দক্ষিণ আফ্রিকার আপার্টহাইড যুগের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। এই যুগের নানা ঘটনা ও প্রতিবাদ এই শহরে ঘটেছে এবং এর প্রভাব এখনও লক্ষণীয়। সোনার খনি আবিষ্কারের ফলে বর্ণবাদী শাসন ব্যবস্থার সমর্থনে বহু লোক জোহানেসবার্গে আসে। আপার্টহাইডের বিরুদ্ধে লড়াইয়েও জোহানেসবার্গ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আজকের জোহানেসবার্গ আধুনিকতার সাথে ঐতিহাসিক গুরুত্বের এক অসাধারণ মিশ্রণ। এটি একটি গতিশীল, বহুজাতিক শহর, যেখানে নানা সংস্কৃতির মানুষ একসাথে বসবাস করে। তবে, অপরাধ, দারিদ্র্য এবং অসমতা এখনও জোহানেসবার্গের বড় সমস্যা। তবুও, এটি দক্ষিণ আফ্রিকার হৃৎপিণ্ড হিসেবে এখনও অব্যাহতভাবে তার প্রভাব বিস্তার করে যাচ্ছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • জোহানেসবার্গ দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বৃহৎ শহর।
  • ১৮৮৬ সালে সোনার খনি আবিষ্কারের পর এর উত্থান ঘটে।
  • আপার্টহাইড যুগের গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থান।
  • দেশের অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দু।
  • জনসংখ্যা ঘনত্ব বেশি।

গণমাধ্যমে - জোহেন্সবার্গ

২০২৪-১২-২২

জোহানেসবার্গে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।