রংপুর শহরের ২৩ নং মহানগর ওয়ার্ডের জুম্মাপাড়া এলাকাটি ‘আল জামিয়াতুল করীমিয়া নুরুল উলুম’ নামক একটি বিখ্যাত কওমি মাদরাসার জন্য পরিচিত। ১৯৭৭ সালের ২১ অক্টোবর হাফেজ ইদ্রিস আলী কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এই মাদরাসাটি প্রাথমিকভাবে ‘করিমুদ্দীন হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানা’ নামে পরিচিত ছিল। পরবর্তীতে এর নাম পরিবর্তন করে বর্তমান নামকরণ করা হয়। মাদরাসাটি দারুল উলুম দেওবন্দ এবং দারুল উলুম হাটহাজারির আদলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আদর্শ অনুসরণ করে। মাদরাসাটির দুটি ক্যাম্পাস রয়েছে যার মোট আয়তন প্রায় ৭ একর। এখানে শিশু শ্রেণী থেকে শুরু করে দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স), ইফতা, কিরাত পর্যন্ত উচ্চতর ইসলামি শিক্ষা প্রদান করা হয়। শিক্ষাক্রমে কুরআন, হাদিস, ফিকহ, উসুল, আকাইদ, ফারাইয, আরবি, উর্দু, ফার্সি সাহিত্য, বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, ভূগোল, বিজ্ঞান ও দর্শনের মতো বিষয়াবলী অন্তর্ভুক্ত। মাদরাসাটি তানযীম বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত এবং আল হাইয়াতুল উলয়া লিল মাদারিসিল কওমিয়ার আওতাভুক্ত। এটি দরসে নিজামি অনুসরণ করে পরিচালিত হয় এবং আংশিক বৈতনিক। মাদরাসায় নিয়মিত তাফসীর মাহফিলের আয়োজন করা হয়, যেখানে বিশিষ্ট আলেমগণ অংশগ্রহণ করেন এবং সমাপনী শিক্ষার্থীদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। জুম্মাপাড়া মাদরাসা রংপুর শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। জুম্মাপাড়ার আরও বিস্তারিত তথ্য উপলব্ধ হলে আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
জুম্মাপাড়া
আপডেট: ৪ জানুয়ারী ২০২৫, ২:৩১ পিএম
মূল তথ্যাবলী:
- ১৯৭৭ সালে রংপুরে প্রতিষ্ঠিত ‘আল জামিয়াতুল করীমিয়া নুরুল উলুম’ কওমি মাদরাসা
- দারুল উলুম দেওবন্দ ও হাটহাজারির আদলে প্রতিষ্ঠিত
- দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) পর্যন্ত শিক্ষা
- তানযীম বোর্ডের অধিভুক্ত
- নিয়মিত তাফসীর মাহফিলের আয়োজন
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।
গণমাধ্যমে - জুম্মাপাড়া
৪ জানুয়ারী ২০২৫
জুম্মাপাড়া এলাকা থেকে ফরহাদ হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।