জিয়াউর রহমানের মাজার: ঢাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপত্য নিদর্শন
বাংলাদেশের ৭ম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থল, ঢাকার শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত জিয়াউর রহমানের মাজার কমপ্লেক্স, দেশের রাজনৈতিক ও স্থাপত্য ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান ধারণ করে। ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা পাঠের জন্য স্মরণীয় এই ব্যক্তিত্বের সমাধিটি ৭৪ একর জুড়ে বিস্তৃত একটি সুন্দর কমপ্লেক্সে অবস্থিত।
- *অবস্থান ও স্থাপত্য:** জাতীয় সংসদ ভবনের উত্তর ও গণভবনের পূর্বে চন্দ্রিমা উদ্যানে (বর্তমানে জিয়া উদ্যান নামে পরিচিত) এই মাজার কমপ্লেক্স অবস্থিত। কমপ্লেক্সটি সাতটি অংশে বিভক্ত, যার কেন্দ্রবিন্দু হলো কালো ও সাদা মার্বেল পাথর দিয়ে নির্মিত জিয়াউর রহমানের বৃত্তাকার সমাধি। মাজার কমপ্লেক্সে রয়েছে একটি রংধনু আকৃতির ঝুলন্ত সেতু, একটি দ্বিতল মেমোরিয়াল হল (যাতে একটি মসজিদ, বিশ্রামাগার, লাইব্রেরি ও সেমিনার হল রয়েছে), দুটি চত্বর, এবং একটি আকর্ষণীয় ক্রিসেন্ট লেক। এছাড়াও, দুটি ফোয়ারা লেকের সৌন্দর্য্য বর্ধন করে।
- *ইতিহাস ও ঘটনাবলী:** জিয়াউর রহমান ২০ শতকের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন। তিনি ২১ এপ্রিল ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হন এবং ৩০ মে ১৯৮১ সালে চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর একদল বিদ্রোহী কর্তৃক নিহত হন। মৃত্যুর পর তার সমাধি চট্টগ্রাম থেকে বর্তমান স্থানে স্থানান্তরিত করা হয়। মাজার কমপ্লেক্স নিয়ে সময়ের সাথে সাথে বিভিন্ন বিতর্ক ও ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে রয়েছে ২০২১ সালে সমাধিতে তার মৃতদেহ থাকার বিষয়ে প্রশ্ন ও মাজার কমপ্লেক্স সরানোর প্রস্তাব। ২৯ এপ্রিল ২০১৫ সালে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের দ্বারা মাজার কমপ্লেক্সে ভাংচুরের ঘটনাও ঘটেছিল।
- *গুরুত্ব:** জিয়াউর রহমানের মাজার কমপ্লেক্স কেবল একটি সমাধিস্থল নয়, এটি বাংলাদেশের ইতিহাস ও স্থাপত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি একটি দর্শনীয় স্থান এবং একই সাথে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি স্মারক।