জিয়া উদ্দিন সিকদার নামটি একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত হতে পারে। উপলব্ধ তথ্যের উপর ভিত্তি করে, আমরা বরিশালের সাথে জড়িত একজন জিয়া উদ্দিন সিকদারের উপর একটি নিবন্ধ তৈরি করছি। আরও তথ্য পাওয়া গেলে এই নিবন্ধটি আপডেট করা হবে।
জিয়া উদ্দিন সিকদার বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব হিসেবে পরিচিত। তিনি বিভিন্ন সময়ে বিএনপির পক্ষ থেকে বিভিন্ন ঘোষণা ও বক্তব্য দিয়েছেন। উদাহরণস্বরূপ, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বরিশাল মহানগর বিএনপির সকল ওয়ার্ড কমিটি বিলুপ্তির ঘোষণা তিনি স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করেছিলেন। এই ঘোষণা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী এবং দলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টুর সম্মতিতে নেওয়া হয়। তিনি উল্লেখ করেছিলেন যে, নতুন কমিটি গঠনের জন্য জ্যেষ্ঠ নেতাদের নির্দেশ অনুসারে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে। তিনি আরও বলেছিলেন যে, দলের কার্যক্রমে আরও গতি আনতে কেন্দ্রের নির্দেশে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তারা ২০২৪ সালের জুলাই মাসে বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের সংবাদেও জড়িত ছিলেন। পুলিশের তথ্য অনুসারে, কোটাবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংস ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তার গ্রেপ্তারের সময় তার চিকিৎসা হাসপাতালে চলছিল।
২০২৪ সালের অক্টোবরে, তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ ১৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন। বরিশাল নগরের সিঅ্যান্ডবি বিএনপির শোক র্যালি কর্মসূচিতে হামলার ঘটনার সাথে এই মামলাটি জড়িত।
অন্যদিকে, জিয়া উদ্দিন সিকদার বরিশাল-পটুয়াখালী বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির আহ্বায়কের দায়িত্বও পালন করেছেন। এই সময় তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য বাস ভাড়া কমানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে, এই ঘোষণার পেছনে দুই পক্ষের মধ্যে চাঁদাবাজির অভিযোগ ও বিরোধিতা ছিল।
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে, তিনি বরিশাল মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে কাজ করেছিলেন। সেই বছরই, বরিশাল জেলা ও মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে হামলার ঘটনার পর আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাদের বিরুদ্ধে এজাহার দায়েরের ঘটনায় তার নাম উঠে আসে।