জাবেদ ওমর: এক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অদম্য ধর্মচর্চা ও ক্রিকেট বিশ্লেষণ
০৩ জানুয়ারী ২০২৫ তারিখে দৈনিক কালেরকণ্ঠের একটি প্রতিবেদনে কুমিল্লার লালমাই উপজেলার এক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, জাবেদ ওমরের কথা তুলে ধরা হয়। জাবেদ ওমরের দুই হাত-পা বাঁকা এবং ঘাড় ও পিঠ সোজা নয়। তবুও তিনি নিয়মিতভাবে মসজিদে নামাজ আদায় করেন। তীব্র শীত কিংবা বৃষ্টি তার ধর্মচর্চায় কোনো বাধা হয়নি। এই প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অদম্য ধর্মচর্চার গল্প স্থানীয়দের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস।
এই প্রতিবেদন দেখে বসুন্ধরা শুভসংঘের লালমাই উপজেলা শাখা জাবেদ ওমরের বাড়িতে উপহার নিয়ে যায়। তাদের পক্ষ থেকে চাউল, আটা, তেল, পেঁয়াজ, আলু, ডাল, সাবান, নামাজি, টুপি, শীতবস্ত্র এবং কিছু পোশাক উপহার দেওয়া হয়। উপহার হস্তান্তরের সময় দৈনিক কালেরকণ্ঠের প্রতিনিধি এবং বসুন্ধরা শুভসংঘের লালমাই উপজেলা শাখার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জাবেদ ওমরের দাদি মরিয়ম বেগম জানান, জন্মের ছয় মাস থেকেই তার নাতি শারীরিক ও বাকপ্রতিবন্ধী। বিভিন্ন চিকিৎসা ব্যর্থ হওয়ার পর তারা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা শুরু করেন। প্রথমে কোলে করে মসজিদে নিয়ে যেতেন এবং পরে উদ্দীপন সংস্থা থেকে একটি হুইল চেয়ার পেয়ে সেটি ব্যবহার করে মসজিদে যেত। কিন্তু বর্তমানে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে নিজেই মসজিদে যান।
জাবেদ ওমরের বাবা জাফর আহমেদ বসুন্ধরা শুভসংঘকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। দোশারীচোঁ উত্তরপাড়া জামে মসজিদের খতিব ও ইমাম হাফেজ ইসমাইল বোখারী জানান, জাবেদ ওমর মসজিদের নিয়মিত মুসল্লি এবং অনেক সময় ফজরের নামাজে একমাত্র মুসল্লি হিসেবে তিনিই ইমামের সাথে নামাজ আদায় করেন।
বসুন্ধরা শুভসংঘের কর্মকর্তারা জাবেদ ওমরের জীবনযুদ্ধে হেরে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে ধর্মচর্চায় তার অসাধারণ সাফল্যের প্রশংসা করেন। তারা জাবেদ ওমরের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। বসুন্ধরা শুভসংঘ সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেয়। উল্লেখ্য, প্রদত্ত তথ্য থেকে জাবেদ ওমরের বয়স, জাতিগত পরিচয় ও অন্যান্য বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে আরও তথ্য পাওয়া গেলে আমরা এই লেখাটি আপডেট করব।
অন্যদিকে, অক্টোবর ২০২৩ এ জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার জাবেদ ওমরের বিশ্লেষণ কিছু সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। তিনি এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ নিয়ে তার মতামত ব্যক্ত করেন। তিনি তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহিমের ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন এবং তামিম ইকবালের অনুপস্থিতির ফলাফলে প্রভাবের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।