বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়: বাংলাদেশের সংসদীয় ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ অংশ
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ সচিবালয় হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তর যা সংসদ ও আইন প্রণয়ন শাখার কার্যক্রম পরিচালনা ও সহায়তা করে। এটি সংসদ ভবনের ভেতরে অবস্থিত। সচিবালয়ের দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন, সংসদের কার্যকলাপ সম্পর্কিত তথ্য গণমাধ্যমে প্রচার, সংসদ সদস্যদের উন্নয়ন ও ভ্রমণ বাজেট বরাদ্দ, এবং সংসদের সামগ্রিক প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করা।
২০০৯ সালে, তৎকালীন স্পীকার মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের দুর্নীতি তদন্তের জন্য একটি সর্বদলীয় সংসদীয় সংস্থা গঠন করেন। তিনি ১৯৭২ সাল থেকে সংসদ সচিবালয়ের সকল ব্যয়ের নিয়ন্ত্রক ও মহাপরীক্ষকের মাধ্যমে পরীক্ষা করেন। ২০২০ সালে, COVID-19 মহামারীর জন্য সংসদ অধিবেশন বন্ধ করতে হয় কারণ প্রায় ১০০ কর্মকর্তা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। মহামারীর সময় কম কর্মদিবসের কারণে ২০২২ সালে ৮০০ মিলিয়ন টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত পাঠানো হয়।
২০১১ সালের নভেম্বর মাসে, সচিবালয় জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের সাথে সংসদ সদস্য ক্লাবে জনসংখ্যা নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করে। ২০১২ সালে, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের বিশিষ্ট সহযোগী রুনাক জাহান সচিবালয়কে কর্মী ও অর্থের অভাব এবং তুলনামূলক দুর্বলতা সম্পন্কে মন্তব্য করেন। তিনি সচিবালয়কে শক্তিশালী করার এবং স্থায়ী কর্মীর ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান। ২০২১ সালে সচিবালয় কুয়েতের একটি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর মোহাম্মদ শহীদ ইসলামকে সংসদ সদস্য হিসেবে অযোগ্য ঘোষণা করে।
সচিবালয় সংসদের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং এর কার্যক্রম সংসদের সুষ্ঠু কাজ পরিচালনার জন্য অত্যাবশ্যকীয়। আমরা জাতীয় সংসদ সচিবালয় সম্পর্কে আরও তথ্য পেলে আপনাকে আপডেট করবো।