জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম
নামান্তরে:
National Revolution and Solidarity Day
৭ ই নভেম্বর বাংলাদেশ
মুক্তিযোদ্ধা হত্যা দিবস
বিপ্লব ও সংহতি দিবস
মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস

১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনটি ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ নামে পরিচিত। ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছিল। এই অস্থিরতার মধ্যেই ৩রা নভেম্বর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খালেদ মোশাররফ একটি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন। কিন্তু মাত্র তিন দিনের মধ্যে কর্নেল (অবঃ) আবু তাহেরের নেতৃত্বে সিপাহী-জনতার ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মুখে খালেদ মোশাররফের অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়। ৭ই নভেম্বরের এই ঘটনাকে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে স্মরণ করা হয়। এই বিপ্লবের ফলে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান কারাগার থেকে মুক্তি পান এবং পরবর্তীতে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। তবে, এই দিনটির ব্যাখ্যা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। আওয়ামী লীগসহ অনেক মহল একে ‘মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস’ হিসেবে দেখে, যেখানে বিএনপিসহ অন্যান্য দল একে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে উদযাপন করে। ৭ই নভেম্বরের এই ঘটনা বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এবং আজও বিতর্কের বিষয় হয়ে রয়েছে। এই দিনটিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে এই দিনটি স্মরণ করা হয়।

মূল তথ্যাবলী:

  • ৭ই নভেম্বর ১৯৭৫ সালে সিপাহী-জনতা বিপ্লব সংঘটিত হয়।
  • কর্নেল (অবঃ) আবু তাহেরের নেতৃত্বে খালেদ মোশাররফের অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়।
  • মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান কারাগার থেকে মুক্তি পান এবং পরবর্তীতে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন।
  • এই দিনটি নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে দ্বিমত বিরাজমান।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।