ছিদ্দিক মোল্যা: ফরিদপুরের পেঁয়াজ চাষের সাথে একজন কৃষক
ফরিদপুরের সালথা উপজেলা পেঁয়াজ চাষের জন্য বিখ্যাত। এই উপজেলার কৃষকদের জীবিকার অন্যতম উৎস পেঁয়াজ চাষ। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে, সালথায় হালি পেঁয়াজের চারা রোপণের মৌসুম চলছিল। এই সময়ে কৃষকরা জমিতে পেঁয়াজের চারা রোপণে ব্যস্ত ছিলেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, তীব্র শীত উপেক্ষা করে কৃষকরা কাজে লেগেছিলেন।
উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের একজন কৃষক ছিদ্দিক মোল্যা, অন্যান্য কৃষকদের সাথে মিলে পেঁয়াজ চারা রোপণ করছিলেন। এ বছর পেঁয়াজের ভালো দাম পাওয়ার আশায় কৃষকরা পেঁয়াজ চাষে বেশ আগ্রহী ছিলেন। ছিদ্দিক মোল্যা সহ অন্যান্য কৃষকরা প্রতিদিন ভোরে উঠে পেঁয়াজের চারা উত্তোলন ও রোপণ করছিলেন। শ্রমিকদের জনপ্রতি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা মজুরি দেওয়া হচ্ছিল।
সালথা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর ১১ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও, ১ হাজার ৪৫০ জন পেঁয়াজ চাষিকে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলায় লাল তীর কিং, তাহেরপুরী, ফরিদপুরী, বারি-১সহ বিভিন্ন জাতের পেঁয়াজ চাষ হচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুদর্শন শিকদার জানিয়েছেন, পেঁয়াজ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকার কৃষি প্রণোদনা দিচ্ছে এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছে। ছিদ্দিক মোল্যা, এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে সরকারি সহায়তা পেয়েছেন কিনা তা নিশ্চিত নয়।
এই প্রতিবেদনে ছিদ্দিক মোল্যার ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন বয়স, জাতিগত পরিচয়, পরিবারের তথ্য ইত্যাদি উল্লেখ নেই। তিনি শুধুমাত্র সালথা উপজেলার একজন পেঁয়াজ চাষী হিসেবে উল্লেখিত।