২০২৩ সালের আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর থেকেই ছাত্র নেতাদের নেতৃত্বে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের আলোচনা শুরু হয়। এক মাস পর সেপ্টেম্বরে ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি’ নামে একটি সংগঠন আত্মপ্রকাশ করে, নতুন বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্য নিয়ে। তারা দ্রুত সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করে সংগঠনকে বিস্তৃত করে। তাদের লক্ষ্য ২০২৫ সালের জানুয়ারির মধ্যে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করা ছিল, যদিও নানা জটিলতার কারণে সময়সীমা ফেব্রুয়ারিতে স্থগিত করা হয়। জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন এবং সদস্য সচিব আখতার হোসেনের বক্তব্য অনুযায়ী, তারা শত শত জেলা-উপজেলা পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়ার পর রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। নারায়ণগঞ্জের নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি মো. শওকত আলী জানিয়েছেন, তারা থানা পর্যায়ের কমিটি গঠনের পর পাড়া-মহল্লা পর্যায়ে কাজ বিস্তৃত করছে। নতুন দলটির আদর্শ হবে মধ্যমপন্থী, বাম-ডান বিভাজনের বাইরে থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করা। তবে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব কে হবে সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। জাতীয় নাগরিক কমিটির মতে, আওয়ামী লীগ-বিএনপির বাইরে নতুন দলের চাহিদা রয়েছে জনগণের মধ্যে। তারা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে, তবে প্রথমেই ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা নয়, বরং অন্তত প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করবে। এই নতুন দলের সাফল্যের সম্ভাবনা নিয়ে অনেক প্রশ্ন ও আলোচনা রয়েছে।
ছাত্র নেতারা
মূল তথ্যাবলী:
- ছাত্র আন্দোলনের পর নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগ
- জাতীয় নাগরিক কমিটির আত্মপ্রকাশ ও দেশব্যাপী কমিটি গঠন
- ফেব্রুয়ারীতে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশের সম্ভাবনা
- মধ্যমপন্থী আদর্শের ভিত্তিতে দল গঠনের পরিকল্পনা
- আওয়ামী লীগ-বিএনপির বাইরে নতুন রাজনৈতিক শক্তির আকাঙ্ক্ষা