চিকমাগালুর: কর্ণাটকের কফি রাজধানী
ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের চিকমাগালুর জেলা, পশ্চিমঘাটের মনোরম পাহাড়ি অঞ্চলে অবস্থিত, কফির জন্য বিখ্যাত। এই জেলাটির সদর দপ্তর চিকমাগালুর শহর। চিক্কামাগলুরু নামটি কন্নড় শব্দ ‘চিক্কা মগালুরু’ থেকে এসেছে, যার অর্থ ‘ছোট মেয়ের গ্রাম’। এই নামের পেছনে একটি কিংবদন্তী রয়েছে, যা বলে যে সাক্রেপট্টনা রাজ্যের রাজা রুকমঙ্গদার কনিষ্ঠ কন্যাকে যৌতুক হিসেবে এই অঞ্চলটি দেওয়া হয়েছিল।
ভৌগোলিক অবস্থান ও জনসংখ্যা:
চিকমাগালুর শহরটি ১৩°১৯′ উত্তর ৭৫°৪৭′ পূর্ব অক্ষাংশে অবস্থিত। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর গড় উচ্চতা ১০৩৭ মিটার (৩৪০২ ফুট)। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে, চিকমাগালুর শহরের জনসংখ্যা ছিল ১১৮,৪০১ জন, যার মধ্যে পুরুষ ৫৮,৭০২ এবং নারী ৫৯,৬৯৯ জন। সাক্ষরতার হার ৮১.৪%।
অর্থনীতি:
চিকমাগালুরের অর্থনীতি মূলত কফি চাষের উপর নির্ভরশীল। এই জেলায় প্রচুর কফি বাগান রয়েছে এবং কফি উৎপাদন এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এছাড়াও পর্যটন এখানে একটি উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক কার্যকলাপ।
ঐতিহাসিক ঘটনা:
চিকমাগালুরের ইতিহাস হোয়াসলা রাজবংশের সাথে জড়িত। কিংবদন্তী অনুসারে, হোয়াসলা রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা সালে হোয়াসলা এই অঞ্চলে অমর হয়েছিলেন। ১৬৭০ সালে বাবা বুদান নামক এক সুফি সাধু আরব থেকে সাতটি কফি বীজ এনে এই অঞ্চলে রোপন করেন, যা ভারতে কফি চাষের সূচনা করে।
পর্যটন:
চিকমাগালুর একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। মুল্লায়ানগিরি শৃঙ্গ, বাবা বুদানগিরি, কুদ্রেমুখ জাতীয় উদ্যান, ভদ্রা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, হেব্বে জলপ্রপাত, কেম্মানগুন্ডি ইত্যাদি পর্যটকদের আকর্ষণ করে।
আরও তথ্য:
চিকমাগালুর সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য পেতে, আপনি কর্ণাটক পর্যটন বিভাগের ওয়েবসাইট বা অন্যান্য নির্ভরযোগ্য সূত্রে দেখতে পারেন।