ঢাকায় চাঁদাবাজি ও ছিনতাই: বর্ধিত আতঙ্ক ও পুলিশের অভিযান
সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা মহানগরীতে চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা সাধারণ জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী ঘোষণা করেন যে, চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করা হবে। তিনি উল্লেখ করেন যে, চাঁদাবাজির কারণে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে এবং নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। এছাড়াও, মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি জনগণকে সচেতন হয়ে চলাচল করার আহ্বান জানান। ডিএমপি কমিশনার হকারদের উচ্ছেদ না করার কথা বললেও হকারদের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়ার বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি মোটরসাইকেলে দুই-তিনজন করে চলাচল এবং যানজটে হর্ন বাজানোর বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
অক্টোবর ২০২৪ এ, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম দুর্গাপূজার পর ছিনতাই, মাদক, চাঁদাবাজি এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে সারা দেশে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করার ঘোষণা দেন। তিনি পূজার সময় সারা দেশে ৩২,০০০ এর অধিক মণ্ডপে ২ লাখেরও বেশি আনসার সদস্য ও ৭৫,০০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েনের কথা জানান। আইজিপি পূজাকে কেন্দ্র করে ১ অক্টোবর থেকে ৪৩টি ঘটনার উল্লেখ করেন এবং ১৪টি মামলা, ২৯টি জিডি এবং ২৬ জন গ্রেপ্তারের তথ্য দেন।
নভেম্বর ২০২৪ সালে, ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, দস্যুতা এবং চাঁদাবাজির ঘটনা রোধে পুলিশি তৎপরতা জোরদারের নির্দেশ দেন। তিনি অপরাধপ্রবণ স্থানগুলো চিহ্নিত করে চেকপোস্ট ও টহল বাড়ানোর পাশাপাশি জনগণের সাথে সম্পৃক্ততার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
এই ঘটনাগুলি দেখায় যে, ঢাকায় চাঁদাবাজি ও ছিনতাই একটি গুরুতর সমস্যা যা সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তবে, কতটা সফলভাবে এই অপরাধগুলি রোধ করা সম্ভব হবে তা সময়ই বলে দেবে।