চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার: ঐতিহ্য ও বর্তমান
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার, বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান বন্দরনগরী চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত লালদীঘির পূর্ব পাশে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক কারাগার। কারাবন্দির সংখ্যার দিক থেকে এটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কারাগার। ১৮৮৫ সালে চট্টগ্রাম জেলা কারাগার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ১৯৯৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর এটি কেন্দ্রীয় কারাগারে উন্নীত হয়। ১৬.৮৭ একর জায়গার উপর অবস্থিত এই কারাগারের ধারণক্ষমতা ১৭৫৩ জন, কিন্তু বাস্তবে ৯ হাজারেরও বেশি কারাবন্দি এখানে থাকে।
ঐতিহাসিক গুরুত্ব:
এই কারাগারের ইতিহাস ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সাথে জড়িত। ১৯৩৪ সালের ১২ জানুয়ারী ব্রিটিশ বিরোধী বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্য সেন এবং তার সহযোগী তারকেশ্বর দস্তিদারকে ব্রিটিশ সরকার এখানেই ফাঁসি দিয়েছিল। এই ঘটনা চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে চিহ্নিত করে।
বর্তমান অবস্থা:
১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ সরকার পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, কর্ণফুলী, হালদা, সাঙ্গু নামে ৬ টি পাঁচতলা বিশিষ্ট বন্দি ভবন এবং একটি দুইতলা সেল ভবন নির্মাণ করে। কারাবন্দি ও কর্মকর্তাদের সুবিধার জন্য ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল, সিকিউরিটি সেল, পুরুষ কনডেম সেল, ডিআইজি প্রিজন ভবন, অফিসার্স কোয়ার্টার ইত্যাদি অবকাঠামো রয়েছে। তবে, কারাবন্দি সংখ্যা অত্যধিক হওয়ার ফলে, জায়গার অভাব, স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার অপ্রতুলতা সমস্যা হিসেবে বিদ্যমান রয়েছে। ২০২৪ সালের ২৯ অক্টোবর মো. ইকবাল হোসেনকে সিনিয়র জেল সুপার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনাবলী:
(এখানে সাম্প্রতিক সময়ের কোনও উল্লেখযোগ্য ঘটনা যোগ করা যেতে পারে)
উপসংহার:
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার বাংলাদেশের ইতিহাসের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও বর্তমান অবস্থার দিকে নজর দিয়ে কারা ব্যবস্থাপনার উন্নয়নের জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ অত্যন্ত জরুরী।