দিনাজপুর সদর উপজেলার ঘুঘু ডাঙ্গা পশ্চিমপাড়া এলাকার কৃষকদের মধ্যে সারের দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) দিনাজপুর অঞ্চলের কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিএডিসি'র যুগ্ম পরিচালক (সার) শওকত আলীর বিরুদ্ধে ডিলারদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে সার বিতরণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘুষের প্রভাব পড়েছে কৃষকদের উপর, যারা সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে সার কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। ঘুঘু ডাঙ্গা পশ্চিমপাড়া এলাকার কৃষক ছালেহুর রহমান জানিয়েছেন, বিএডিসির ডিলারদের কাছে সার পাওয়া কষ্টকর হয়ে উঠেছে এবং যদি পাওয়া যায়, তাহলেও একসাথে চার ধরণের সার নিতে হচ্ছে, যা সবসময় প্রয়োজন হয় না। এই কারণে তাঁদের অন্যান্য দোকান থেকে সার কিনতে হচ্ছে, যার ফলে বস্তা প্রতি দুই থেকে পাঁচশ টাকা বেশি দাম দিতে হচ্ছে। এই বাড়তি দাম কৃষকদের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি করছে। সারের খুচরা বিক্রেতা ফরিদুল ইসলামও জানিয়েছেন যে, তাদেরকেও সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে সার কিনতে হচ্ছে এবং সেই প্রভাব কৃষকদের উপর পড়ছে। উল্লেখ্য, শওকত আলী নিজের বিরুদ্ধে উঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ঘুঘু ডাঙ্গা পশ্চিমপাড়া
মূল তথ্যাবলী:
- ঘুঘু ডাঙ্গা পশ্চিমপাড়ার কৃষকরা সারের দাম বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ।
- বিএডিসি কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে সারের দাম বেড়েছে।
- ডিলারদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে বিএডিসি কর্মকর্তা শওকত আলী।
- কৃষকদের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে সারের বাড়তি দামের কারণে।