ঘিলাছড়া নামটি নিয়ে কিছুটা দ্ব্যর্থতা রয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ঘিলাছড়া নামের একাধিক স্থান রয়েছে। নিম্নে তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলো:
১. সিলেট জেলার ঘিলাছড়া:
সিলেট জেলার ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার অন্তর্গত ৩নং ঘিলাছড়া ইউনিয়ন একটি ঐতিহ্যবাহী অঞ্চল। হাকালুকি হাওরের তীরে অবস্থিত এ ইউনিয়নটি শিক্ষা, সংস্কৃতি, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং খেলাধুলার ক্ষেত্রে নিজস্ব এক স্বকীয়তা ধারণ করে আছে। ইউনিয়নটি ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন মইজ উদ্দিন (প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন আপ্তাব আলী)। ইউপি ভবন ১৯৮৭ সালে স্থাপিত হয়।
এই ঘিলাছড়ার আয়তন ৪৩.০৯ বর্গ কিলোমিটার এবং ২০টি গ্রাম নিয়ে গঠিত। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী এখানকার লোকসংখ্যা প্রায় ৩২৫৫৯ জন এবং শিক্ষার হার ৪৯% (২০০১ সালের জরিপ অনুযায়ী)। বর্তমান চেয়ারম্যান হলেন মোঃ আশরাফ আলী।
২. রাঙ্গামাটি জেলার ঘিলাছড়া (নানিয়ারচর):
রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলার ৪নং ঘিলাছড়া ইউনিয়ন এ উপজেলার সবচেয়ে ছোট ইউনিয়ন। এর আয়তন ২০,৪৮০ একর (৮২.৮৮ বর্গ কিলোমিটার)। ২০২২ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ইউনিয়নের জনসংখ্যা ৯,৩৬৭ জন, যাদের মধ্যে ৯,১৪৭ জন বৌদ্ধ, ১৮৮ জন মুসলিম, ২০ জন হিন্দু এবং ১২ জন খ্রিস্টান। সাক্ষরতার হার ৩৪.৮৪%। এখানে ১টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ১৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। যোগাযোগের প্রধান সড়ক রাঙ্গামাটি-মহালছড়ি সড়ক।
৩. রাঙ্গামাটি জেলার ঘিলাছড়া (রাজস্থলী):
রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার ১নং ঘিলাছড়া ইউনিয়ন উপজেলার বৃহত্তম ইউনিয়ন। এর আয়তন ১৮,৫৬০ একর (৭৫.১১ বর্গ কিলোমিটার)। ২০২২ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী জনসংখ্যা ৮,৩৯১ জন, যাদের মধ্যে ৪,৩৯৭ জন বৌদ্ধ, ২,৪৫৯ জন খ্রিস্টান, ৯৩৭ জন মুসলিম এবং ৫৯৮ জন হিন্দু। সাক্ষরতার হার ২৭.৩৭%। এখানে ১টি কলেজ, ১টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। যোগাযোগের প্রধান সড়ক বাঙ্গালহালিয়া-রাজস্থলী সড়ক। কাপ্তাই খাল ইউনিয়নের পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে প্রবাহিত হয়।
উপরোক্ত তথ্য থেকে বোঝা যায়, ঘিলাছড়া নামের একাধিক স্থান রয়েছে। স্থান নির্দিষ্ট করার জন্য, জেলার নাম উল্লেখ করা প্রয়োজন।