গ্রিসের অ্যাথেন্স

আপডেট: ৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৪৯ এএম

গ্রিসের রাজধানী ও সবচেয়ে বড় শহর অ্যাথেন্স (Αθήνα), ৩৪০০ বছরের লিখিত ইতিহাস সমৃদ্ধ একটি প্রাচীন শহর। খ্রিস্টপূর্ব ৭ম থেকে ১১শ শতাব্দীর মধ্যে মানুষের প্রথম বসতি গড়ে ওঠে এখানে। অ্যাটিকা অঞ্চলের সবচেয়ে প্রভাবশালী শহর হিসেবে অ্যাথেন্সের ইতিহাস বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন শহরগুলির একটি।

প্রাচীনকালে অ্যাথেন্স একটি শক্তিশালী নগর-রাষ্ট্র ছিল, শিল্প, শিক্ষা ও দর্শনের কেন্দ্র। প্লেটোর একাডেমি এবং অ্যারিস্টটলের লাইসিয়াম-এর অবস্থানের কারণে এটি জ্ঞানের আধারে পরিণত হয়। প্রাচীন রোমের উপর বিশাল সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক প্রভাবের জন্য অ্যাথেন্সকে পশ্চিমা সভ্যতার শৈশবের দোলনা এবং গণতন্ত্রের জন্মস্থান বলা হয়।

আধুনিক যুগে অ্যাথেন্স গ্রিসের অর্থনৈতিক, আর্থিক, শিল্প, সমুদ্রবন্দর, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত। ২০২১ সালে, এর শহুরে এলাকায় সাড়ে ত্রিশ লক্ষের বেশি মানুষ বসবাস করত, যা গ্রিসের মোট জনসংখ্যার ৩৫% এর বেশি। গ্লোবালাইজেশন অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড রিসার্চ নেটওয়ার্কের মতে, অ্যাথেন্স একটি বিটা গ্লোবাল সিটি এবং উত্তর-পূর্ব ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক কেন্দ্রগুলির মধ্যে একটি। পিরিয়াস বন্দর ইউরোপের সবচেয়ে বড় এবং বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম বন্দর।

অ্যাথেন্স পৌরসভা (২০১১ সালে) ৬,৬৪,০৪৬ জন বাসিন্দা নিয়ে ৩৮.৯৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। বৃহত্তর অ্যাথেন্সের শহুরে এলাকা আরও ব্যাপক। অ্যাথেন্সের প্রতিটি কোণে কয়েক হাজার বছরের ইতিহাসের ছাপ স্পষ্ট। অ্যাক্রোপলিস, স্টোয়া অফ আটালোস, প্লাকা, প্রাচীন আড্রিয়ান তোরণ শহরের উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক স্থান। আধুনিক অ্যাথেন্সে সিন্টাগমা স্কোয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান।

মূল তথ্যাবলী:

  • অ্যাথেন্স গ্রিসের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর
  • ৩৪০০ বছরের লিখিত ইতিহাস
  • প্রাচীন গ্রিক সভ্যতার কেন্দ্রবিন্দু
  • গণতন্ত্রের জন্মস্থান
  • পশ্চিমা সভ্যতার উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব
  • বৃহৎ অর্থনৈতিক কেন্দ্র
  • ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক স্থানের সমাহার

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।