গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতি

আপডেট: ৫ জানুয়ারী ২০২৫, ৯:৪০ পিএম

বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি একটি উল্লেখযোগ্য ব্যবস্থা। ২০২০ সালে করোনা মহামারীর সময়, ইউজিসি এর উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে এই পদ্ধতির উন্নয়ন করা হয়। বর্তমানে ২৪টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এই পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করে থাকে। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১৫ টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এই পদ্ধতিতে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একই সময়ে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয় যা শিক্ষার্থীদের জন্য সময় ও ব্যয় সাশ্রয়ী। প্রতি বছর গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে লক্ষাধিক শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে ভর্তির সুযোগ পায়।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, ভর্তি প্রক্রিয়া, যোগ্যতার মানদণ্ড, পরীক্ষা ফি, আসন সংখ্যা, মানবন্টন, প্রশ্নপত্রের ধরণ, পাস মার্ক, ফলাফল প্রকাশ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিস্তারিতভাবে নিম্নে উল্লেখ করা হলো:

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয়:

গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের তালিকা প্রতি বছর উপাচার্যদের সভায় চূড়ান্ত হয়ে থাকে। তবে সাধারণত দেশের একাধিক সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এই পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিতে অংশ গ্রহণ করে।

ভর্তি প্রক্রিয়া:

প্রাথমিকভাবে অনলাইনে আবেদন করতে হয়। এরপর যোগ্যতা পূরণকারী শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়। পরীক্ষা শেষে ফলাফল প্রকাশ করা হয় এবং মেধাতালিকার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়।

যোগ্যতার মানদণ্ড:

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় নির্দিষ্ট জিপিএ অর্জন করতে হয়। বিজ্ঞান, মানবিক এবং বাণিজ্য বিভাগের ক্ষেত্রে এই যোগ্যতার মানদণ্ড ভিন্ন হতে পারে। এছাড়াও জিপিএ ও বিষয় ভিত্তিক মানদন্ড পূরণ করতে হয়।

পরীক্ষা ফি:

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার জন্য একটি নির্দিষ্ট ফি সরকার দ্বারা নির্ধারিত হয়ে থাকে।

আসন সংখ্যা:

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক আসন থাকে।

মানবন্টন:

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে বিভিন্ন বিষয়ের জন্য মানবন্টন করা হয়। বিজ্ঞান, মানবিক এবং বাণিজ্য বিভাগের ক্ষেত্রে এই মানবন্টন ভিন্ন হতে পারে।

প্রশ্নপত্রের ধরণ:

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (MCQ) ভিত্তিক হয়।

পাস মার্ক:

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট ন্যূনতম মার্ক অর্জন করতে হয়।

ফলাফল প্রকাশ:

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল সাধারণত অনলাইনে প্রকাশ করা হয়। শিক্ষার্থীরা তাদের রোল নম্বর এবং অন্যান্য তথ্য ব্যবহার করে তাদের ফলাফল চেক করতে পারে।

অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য (যেমন- পরীক্ষার তারিখ, সময়, স্থান, আবেদনের শেষ তারিখ ইত্যাদি) প্রতি বছর গুচ্ছ কর্তৃপক্ষ দ্বারা ঘোষণা করা হয়। শিক্ষার্থীদের এই তথ্যগুলো সঠিকভাবে জানা অত্যন্ত জরুরী।

গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতির সুবিধা:

গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একই সময়ে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারে, যা তাদের সময় এবং অর্থ সাশ্রয় করে। এছাড়াও এই পদ্ধতি মেধাভিত্তিক ভর্তি নিশ্চিত করে এবং ভর্তি প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু করে তোলে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ২০২০ সালে করোনা মহামারীর সময় ইউজিসির উদ্যোগে গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতি চালু হয়।
  • বর্তমানে ২৪ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এই পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়।
  • একটি সমন্বিত পরীক্ষার মাধ্যমে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে ভর্তির সুযোগ।
  • বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য শাখার জন্য আলাদা আলাদা যোগ্যতা নির্ধারিত।
  • এমসিকিউ পদ্ধতিতে 100 নম্বরের পরীক্ষা।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতি

৪ জানুয়ারী ২০২৫, ৬:০০ এএম

গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের কাছে বিতর্কিত একটি বিষয় হিসেবে উঠে এসেছে।