গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী: একজন বিতর্কিত রাজনীতিবিদ
গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী বাংলাদেশের একজন বিখ্যাত রাজনীতিবিদ, যিনি তার রাজনৈতিক কর্মজীবনে বেশ কিছু বিতর্কের মুখোমুখি হয়েছেন। তিনি প্রথমে জাতীয় পার্টির সাথে যুক্ত ছিলেন এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) -এ যোগদান করেন। তিনি চট্টগ্রামের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন এবং দুইবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
রাজনৈতিক জীবন:
- ১৯৮৬ সালে তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৭ আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন।
- ১৯৯৬ সালে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৬ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন।
- আগস্ট ২০১০ পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।
- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের চট্টগ্রাম জেলা (উত্তর) শাখার সাবেক সভাপতি।
- ২০০৮ সালের নির্বাচনে তার প্রার্থীতা বাতিল হয়।
- নভেম্বর ২০০৯ সালে তার বাসভবনে আওয়ামী লীগ কর্মীদের কর্তৃক হামলা হয় বলে অভিযোগ উঠে।
- মে ২০০১০ সালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচনে প্রার্থী হন।
- সেপ্টেম্বর ২০০১০ সালে খারাপ চেকের মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি হয়।
- ৩০ অক্টোবর ২০১৯ সালে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করার অপরাধে তাকে তিন বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ব্যবসায়িক জীবন:
গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী কিউসি কনটেইনার লাইন লিমিটেড এবং কিউসি শিপিং লিমিটেড-এর পরিচালক ছিলেন। উভয় সংস্থাই তাঁর পরিবারের মালিকানাধীন। তিনি ঢাকা ডাইং-এর পরিচালকও ছিলেন।
পারিবারিক পটভূমি:
তার পিতা ফজলুল কাদের চৌধুরী পাকিস্তানের সংসদের স্পিকার ছিলেন। তার ভাই সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী সংসদ সদস্য ছিলেন এবং যুদ্ধাপরাধী হিসেবে দোষী সাব্যস্ত হন। সালমান এফ রহমান তার খালাতো ভাই।
অন্যান্য তথ্য:
আমরা যদি গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর জীবনী সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য পেতে পারি তাহলে আমরা এই লেখাটি আপডেট করব।
রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক জীবন: এক নজরে
- ১৯৮৬: জাতীয় পার্টির টিকিটে চট্টগ্রাম-৭ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত।
- ১৯৯৬: বিএনপির টিকিটে চট্টগ্রাম-৬ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত।
- ২০১০: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত।
- চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি।
- কিউসি কনটেইনার লাইন লিমিটেড, কিউসি শিপিং লিমিটেড ও ঢাকা ডাইং এর পরিচালক।
- ২০১৯: প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্যের জন্য তিন বছরের কারাদণ্ড।