বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার ২নং গাড়ীদহ ইউনিয়ন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক এলাকা। বিগত বিএনপি সরকারের আমলে একে মডেল ইউনিয়ন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। যদিও ইউনিয়নের নাম গাড়ীদহ, এর পরিষদ ভবন চন্ডিজান ও বাংড়া গ্রামের মাঝামাঝি অবস্থিত। করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত এই ইউনিয়ন শিল্প ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সমৃদ্ধ।
এখানে অবস্থিত পল্লী উন্নয়ন একাডেমী বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ উন্নয়নমূলক প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও রয়েছে সরকারি ডেইরি ফার্ম, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন, খেলার মাঠ এবং অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ইউনিয়নে ৫টি কলেজ, ৪টি উচ্চ বিদ্যালয়, ৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪টি রেজিষ্ট্রি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১৪টি মাদ্রাসা রয়েছে।
২৪.৮৯ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই ইউনিয়ন ৯টি ওয়ার্ড, ২৩টি মৌজা, ২৯টি গ্রাম এবং ৯২টি পাড়া নিয়ে গঠিত। ১ জন চেয়ারম্যান, ১ জন সচিব এবং ১৩ জন সদস্য (৯ জন পুরুষ ও ৩ জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য) নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালিত হয়। এছাড়াও ৯ জন গ্রাম পুলিশ রয়েছে। ইউনিয়ন সচিব স্থায়ীভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত, আর চেয়ারম্যান ও সদস্যরা ৫ বছর অন্তর নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হন।
গাড়ীদহ ইউনিয়নে ১২টি ঈদগাহ মাঠ, ৮১টি মসজিদ এবং ২টি মন্দির রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ১৩টি কবরস্থান, ১৪৬টি পুকুর এবং করতোয়া নদী। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সহ নানা আধুনিক সেবা প্রদান করা হয়। শেরপুর উপজেলা পরিষদ থেকে ৪ কিমি পূর্ব-উত্তরে অবস্থিত গাড়ীদহ ইউনিয়ন পরিষদে শেরপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে বিভিন্ন যানবাহন যেমন বেবি ট্যাক্সি, অটোরিক্সা, ভ্যান, সিএনজি ইত্যাদি করে যাওয়া যায়। নদীর প্রবাহ কানুপুর থেকে শুরু করে রামনগন, কালশীমাটি, বাংড়া, গাড়ীদহ, জুয়ানপুর, চন্ডিজান, মহিপুর, চকপাথালিয়া, ফুলবাড়ী, জয়নগর, কাফুরা হয়ে রণবীরবালা পর্যন্ত বিস্তৃত।