রাজবাড়ীর গাজী হাওলাদার: গরু জব্দ ও আটকের ঘটনা
গত ২৬ ডিসেম্বর, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পুলিশের অভিযানে ৬৫ বছর বয়সী এক গরু ব্যবসায়ী গাজী হাওলাদারকে আটক করা হয় এবং তার ১০টি বড় গরু জব্দ করা হয়। তিনি দৌলতদিয়া ইউনিয়নের চর দৌলতদিয়া হাচেন মোল্লাপাড়ার ইসমাইল হাওলাদারের ছেলে বলে জানা গেছে। পুলিশের দাবি, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তারা এই গরুগুলোকে চোরাই বলে মনে করছে। তবে গাজী হাওলাদারের পরিবার ও গরু বিক্রেতারা দাবি করছেন, গরুগুলো বৈধভাবে ক্রয় করা হয়েছে এবং তারা অযথা হয়রানির শিকার হচ্ছে। স্থানীয়রা ও গাজী হাওলাদারের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, গরু লালন-পালন ও বিক্রি তাদের বহু বছরের ব্যবসা এবং তাদের খামারে সবসময়ই ১০-১২টি গরু থাকে।
গরু জব্দের পর গাজী হাওলাদারের পরিবারের লোকজন ও গরু বিক্রেতারা দিনভর পুলিশের পেছনে ধরনা দিয়েছিলেন। কয়েকজন বিক্রেতা তাদের গরু বিক্রির বিষয়ে তথ্য-প্রমাণ ও সাক্ষ্য দিতে পুলিশের কাছে উপস্থিত হন। ইসমাইল হোসেন (৬০) নামের এক ব্যক্তি জানান, তিনি গাজী হাওলাদারের কাছে ৩টি গরু ৫ লাখ ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন, তবে নগদ মাত্র ১৫ হাজার টাকা পেয়েছেন। আর উজানচর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মজনু শেখ জানান, তিনি ২টি গরু ১ লাখ ৯৮ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন, তবে এখনও ১ লাখ টাকা বাকি রয়েছে।
গোয়ালন্দ পশু হাসপাতালের চিকিৎসক ইকবাল হাসান বলেন, তিনি গাজী হাওলাদারের গরুগুলোর নিয়মিত চিকিৎসা করেন এবং এগুলো চোরাই নয়। স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল গাফফারও একই দাবি করেন। গোয়ালন্দ ঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) উত্তম কুমার বলেন, গরুগুলোর বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল না, তবে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওসি রাকিবুল ইসলাম জানান, তাদের কাছে গোপন তথ্য আছে যে গরুগুলো চোরাই এবং গাজী হাওলাদারের বিরুদ্ধে পূর্বেও গরু চুরির মামলা রয়েছে। তবে যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত মালিকদের কাছে গরুগুলো হস্তান্তর করা হবে। ঘটনার বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে জানানো হবে।