গর্ভপাত

আপডেট: ৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:১৯ এএম
নামান্তরে:
Abortion
Termination of pregnancy
Abortions
Induced abortion
Abortionist
Surgical abortion
Abortus provocatus
Physical Effects of Abortion
Abortion, Physical Effects of
Pregnancy termination
গর্ভপাত

গর্ভপাত: একটি বহুমুখী বিষয়

গর্ভপাত শব্দটির অর্থ নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, সাধারণত একে গর্ভধারণের অকালে সমাপ্তি হিসেবে বোঝায়। এটি স্বতঃস্ফূর্তভাবে (মিস্‌ক্যারেজ) বা ইচ্ছাকৃতভাবে (প্ররোচিত গর্ভপাত) ঘটতে পারে। স্বতঃস্ফূর্ত গর্ভপাত প্রকৃতিগত কারণে ঘটে, অন্যদিকে প্ররোচিত গর্ভপাত চিকিৎসাগত বা ব্যক্তিগত কারণে করা হয়। এই লেখায় আমরা গর্ভপাতের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করবো।

গর্ভপাতের কারণসমূহ:

গর্ভপাতের অনেক কারণ থাকতে পারে, যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত:

  • জেনেটিক সমস্যা: ভ্রূণের ক্রোমোসোমে ত্রুটি। এটি গর্ভপাতের সবচেয়ে সাধারণ কারণ।
  • হরমোনজনিত সমস্যা: গর্ভাবস্থা ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় হরমোনের ঘাটতি।
  • সংক্রমণ: মায়ের শরীরে বিদ্যমান কিছু সংক্রমণ।
  • জরায়ুর সমস্যা: জরায়ুর গঠনগত ত্রুটি বা রোগ।
  • অটোইমিউন রোগ: শরীরের নিজস্ব কোষকে আক্রমণ করে এমন রোগ।
  • জীবনযাত্রার অভ্যাস: ধূমপান, মদ্যপান, ড্রাগ সেবন।
  • অতিরিক্ত ওজন: মহিলাদের অতিরিক্ত ওজন।
  • আঘাত: পেটে আঘাত লাগা।
  • মানসিক চাপ: অত্যধিক মানসিক চাপ।

অনেক ক্ষেত্রে গর্ভপাতের কারণ স্পষ্টভাবে বের করা যায় না।

গর্ভপাতের লক্ষণসমূহ:

গর্ভপাতের লক্ষণ ব্যক্তিভেদে আলাদা হতে পারে। কিছু সাধারণ লক্ষণ হলো:

  • যোনিপথে রক্তপাত
  • পেটে ব্যথা বা মোচড়ানো
  • যোনিপথে টিস্যু বা ক্লট বের হওয়া
  • গর্ভাবস্থার লক্ষণগুলি কমে যাওয়া

গর্ভপাত নির্ণয়ের জন্য ডাক্তাররা আল্ট্রাসাউন্ড, রক্ত পরীক্ষা এবং পেলভিক পরীক্ষা করতে পারেন।

গর্ভপাতের চিকিৎসা:

গর্ভপাতের চিকিৎসা গর্ভপাতের ধরণ এবং মাত্রা অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। সাধারণত অবশিষ্ট টিস্যু অপসারণের জন্য D&C (Dilation and Curettage) নামক একটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। অন্যান্য ক্ষেত্রে ওষুধের সাহায্যেও চিকিৎসা করা হয়।

গর্ভপাতের পর কী করণীয়:

গর্ভপাতের পর যথাযথ বিশ্রাম এবং পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ জরুরী। মানসিক সহায়তার জন্য পরিবারের সদস্য, বন্ধুবান্ধব ও মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে।

গর্ভপাত প্রতিরোধ:

গর্ভপাত প্রতিরোধ সম্পূর্ণরূপে সম্ভব না হলেও, ঝুঁকি কমানোর জন্য নীচের পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত:

  • সুষম খাদ্য গ্রহণ
  • নিয়মিত ব্যায়াম
  • ধূমপান ও মদ্যপান বর্জন
  • প্রসবপূর্ব যত্ন গ্রহণ
  • দীর্ঘস্থায়ী রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা

আইনগত দিক:

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গর্ভপাতের আইনগত দিক ভিন্ন ভিন্ন। কিছু দেশে গর্ভপাত বৈধ, অন্যদিকে কিছু দেশে গর্ভপাত নিষিদ্ধ বা কেবলমাত্র নির্দিষ্ট কারণে বৈধ।

গর্ভপাত একটি জটিল বিষয়, যা স্বাস্থ্য, আইন, নীতি, এবং ধর্মের সাথে জড়িত। এই লেখায় উল্লেখিত তথ্য কেবলমাত্র তথ্যমূলক এবং চিকিৎসাগত পরামর্শের বিকল্প নয়। যেকোনো ধরনের গর্ভপাত সম্পর্কিত সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরী।

মূল তথ্যাবলী:

  • গর্ভপাত হলো গর্ভধারণের অকালে সমাপ্তি।
  • গর্ভপাত স্বতঃস্ফূর্ত বা প্ররোচিত হতে পারে।
  • জেনেটিক সমস্যা, হরমোনজনিত সমস্যা, সংক্রমণ, জরায়ুর সমস্যা, জীবনযাত্রার অভ্যাসসহ অনেক কারণে গর্ভপাত হতে পারে।
  • যোনিপথে রক্তপাত, পেটে ব্যথা, যোনিপথে টিস্যু বের হওয়া গর্ভপাতের লক্ষণ।
  • চিকিৎসা গর্ভপাতের ধরন এবং মাত্রা অনুযায়ী।
  • গর্ভপাত প্রতিরোধ পুরোপুরি সম্ভব নয়, তবে ঝুঁকি কমানো যায়।
  • বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গর্ভপাতের আইনগত দিক ভিন্ন।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - গর্ভপাত

৩ জানুয়ারী ২০২৫

সালিশের মাধ্যমে গর্ভপাত ও বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

২ জানুয়ারী ২০২৫, ৬:০০ এএম

হাফিজা আক্তার গর্ভপাত করিয়েছিলেন।