গণযোগাযোগ অধিদপ্তর

আপডেট: ৪ জানুয়ারী ২০২৫, ৫:৪৫ পিএম

বাংলাদেশের গণযোগাযোগ অধিদপ্তর: জনসংযোগের সেতুবন্ধন

গণযোগাযোগ অধিদপ্তর বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। এটি সরকারের নীতি, কর্মসূচি ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজে নিয়োজিত। এই অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় ঢাকার তথ্য ভবনে অবস্থিত।

ঐতিহাসিক পটভূমি:

গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের ইতিহাস ব্রিটিশ ভারতের ১৯২৪ সালে কোলকাতার রাইটার্স বিল্ডিংয়ে প্রতিষ্ঠিত তথ্য বিভাগের পাবলিসিটি ডিপার্টমেন্ট থেকে শুরু হয়। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর পাকিস্তান সরকারের তথ্য ও বেতার মন্ত্রণালয়ের অধীনে এটি পাবলিক রিলেশনস ডাইরেক্টরেট হিসেবে পরিচালিত হয়। স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালের ২রা অক্টোবর পূর্ববর্তী প্রতিষ্ঠানগুলিকে একত্রিত করে গণযোগাযোগ অধিদপ্তর গঠিত হয়। ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ পরিষদ, জেলা তথ্য কেন্দ্র ও পাবলিক লাইব্রেরিকে পৃথক করা হয় এবং ১৯৮৩ সালে এনাম কমিটি কর্তৃক এ অধিদপ্তর পুনর্বিন্যাস করা হয়।

কার্যক্রম:

গণযোগাযোগ অধিদপ্তর দেশের ৬৪টি জেলায় এবং পার্বত্য অঞ্চলের ৪টি উপজেলায় তথ্য অফিসের মাধ্যমে কাজ করে। এদের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে:

  • সরকারের নীতি ও উন্নয়ন কর্মসূচি জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া।
  • বিভিন্ন সভা, সেমিনার, আলোচনা সভার মাধ্যমে জনগণের সাথে যোগাযোগ স্থাপন।
  • প্রচার সামগ্রী, প্রামাণ্যচিত্র, পোস্টার, লিফলেট ইত্যাদি বিতরণ।
  • গণসংগীত, পথনাটক, প্রদর্শনী, প্রতিযোগিতার আয়োজন।
  • দুর্যোগকালীন পরিস্থিতিতে জনগণকে সচেতন করা।
  • সামাজিক সমস্যা, যেমন যৌতুক, বাল্যবিবাহ, মাদকাসক্তি ইত্যাদির বিরুদ্ধে জনমত গঠন।

উপসংহার:

গণযোগাযোগ অধিদপ্তর সরকার এবং জনগণের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতুবন্ধন তৈরি করে। তাদের কার্যক্রম সরকারের উন্নয়নমূলক লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৯২৪ সালে কোলকাতায় প্রতিষ্ঠা
  • ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে পুনর্গঠন
  • তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীন
  • ৬৮টি তথ্য অফিস (৬৪ জেলা + ৪ উপজেলা)
  • জনগণের সাথে সরকারের যোগাযোগ স্থাপন

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - গণযোগাযোগ অধিদপ্তর

২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

এই সংস্থার মহাপরিচালকের বদলি করা হয়েছে।