গজারিয়া উপজেলা

আপডেট: ৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৩২ এএম

গজারিয়া উপজেলা: মুন্সিগঞ্জ জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা এবং একটি প্রাচীন জনপদ। এটি মেঘনা নদীর ডেল্টায় অবস্থিত এবং ঢাকা শহর থেকে ২৮ কিলোমিটার দূরে। ব্রিটিশ শাসনামলে এটি অসম জেলার ত্রিপুরা থানার অংশ ছিল, পরে ১৯৪৬ সালে মুন্সিগঞ্জ থানার অন্তর্ভুক্ত হয় এবং ১৯৫৪ সালে স্বাধীন গজারিয়া থানা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৩ সালে এটি উপজেলায় রূপান্তরিত হয়। উপজেলার আয়তন ১৩০.৯২ বর্গ কিমি এবং এখানে ৮টি ইউনিয়ন, ১১৪টি মৌজা এবং ১৩৩টি গ্রাম রয়েছে। ২০০১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী জনসংখ্যা ছিল ১,২৮,৩৬৮ জন এবং ২০০১ সালে সাক্ষরতার হার ছিল ৩২.৭%, যেখানে ২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী জনসংখ্যা বেড়ে ১,৫৭,৯৮৮ জনে দাঁড়ায় এবং সাক্ষরতার হার হয় ৫৭.১৯%। মুক্তিযুদ্ধের সময় গজারিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ১৯৭১ সালের মে মাসে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী গজারিয়ায় আক্রমণ চালায় এবং গোশাইরচর গ্রামে ৪০০ এর বেশি মানুষকে হত্যা করে। মুক্তিযোদ্ধারা ভাটেরচর ব্রিজ ধ্বংস করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে। গজারিয়া উপজেলার অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর। ধান, গম, আলু, সরিষা, তিল, মসুর ডাল, চীনাবাদাম, ভুট্টা প্রধান কৃষি ফসল। এছাড়াও, কাগজ কল, সিমেন্ট কারখানা, সুতা কল, বিস্কুট ফ্যাক্টরি, হিমাগার ইত্যাদি শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। গজারিয়া উপজেলার উল্লেখযোগ্য স্থানসমূহের মধ্যে রয়েছে গোশাইরচর, ভবেরচর, বাউশিয়া, বালুয়াকান্দি, ইত্যাদি। গজারিয়ার নদ-নদী ও চরাঞ্চলের সৌন্দর্য এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব এটিকে একটি উল্লেখযোগ্য এলাকা করে তুলেছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • গজারিয়া উপজেলা মুন্সিগঞ্জ জেলার অধীনে
  • এটি একটি প্রাচীন জনপদ
  • মেঘনা নদীর ডেল্টায় অবস্থিত
  • মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে
  • কৃষি ও শিল্পের উপর অর্থনীতি নির্ভরশীল

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।