হাজী আসমত আলী বেপারী: বাংলাদেশের এক কিংবদন্তী দানবীর
হাজী আসমত আলী বেপারী, বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার পলতাকান্দা (চন্ডিবের) গ্রামের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। তিনি তাঁর অসাধারণ দানশীলতা এবং জনহিতৈষী কাজের জন্য 'ভৈরবের দানবীর' নামে সারা দেশে পরিচিত। তিনি শিক্ষা ও দারিদ্র্য দূরীকরণে নিজের সম্পত্তির বিরাট অংশ ব্যয় করেছেন।
জন্ম ও প্রারম্ভিক জীবন:
তিনি বৃহত্তর ময়মনসিংহ বিভাগের কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার চন্ডিবের (পলতাকান্দা) গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর জন্মের সঠিক তারিখ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি।
জনহিতৈষী কর্মকাণ্ড:
হাজী আসমত আলী বেপারী শিক্ষা ও দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য বিপুল অর্থ ব্যয় করেছেন। তাঁর দানশীলতা ও জনহিতৈষী কাজের কারণে তিনি বৃহত্তর ময়মনসিংহ ও কিশোরগঞ্জ জেলায় কিংবদন্তীতে পরিণত হন।
হাজী আসমত কলেজ:
১৯৪৭ সালে হাজী আসমত আলী বেপারী এবং অন্যান্য শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের যৌথ প্রচেষ্টায় ভৈরবে হাজী আসমত কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। তৎকালীন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজটি অনুমোদন করেছিল। তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর উপস্থিতিতে শিক্ষামন্ত্রী সৈয়দ মোয়াজ্জেমউদ্দিন হোসাইন কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ৩৯ বিঘা জমির উপর নির্মিত এই কলেজে বর্তমানে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়নরত।
পারিবারিক বাসস্থান:
মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত তাঁর ঐতিহাসিক পারিবারিক বাসস্থানটি ১৯২৮ সালে স্থাপিত হয়। এটি এলাকায় 'পলতাকান্দার বড় বাড়ি' নামে পরিচিত।
মৃত্যু:
২১ আগস্ট ১৯৬৭ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন এবং চন্ডিবের দক্ষিণ পাড়া জামে মসজিদ সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত হন।
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
হাজী আসমত আলী বেপারীর জীবন ও কাজ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। আমরা আপনাকে পরবর্তীতে আরও বিস্তারিত তথ্য দিতে পারব।