খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড: লাভের আশায় লোকসানের ছায়া
খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড (কেপিপিএল) নামে একটি কোম্পানি যা ২০১৪ সালে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৭৩ কোটি ৪ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৭ কোটি ৩০ লাখ ৪০ হাজার। এর মধ্যে ৩৯.৭৬ শতাংশ শেয়ার উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে, ১.১১ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বাকি ৫৯.১৩ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
অর্থনৈতিক অবস্থা: কেপিপিএল সর্বশেষ ছয় বছর ধরে টানা লোকসানে রয়েছে। ২০১৬-১৭ হিসাব বছর থেকে শুরু করে ২০২১-২২ হিসাব বছর পর্যন্ত কোম্পানিটির আর্থিক অবস্থা খুবই দুর্বল ছিল। তবে ২০২১-২২ হিসাব বছরে লোকসানের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কর-পরবর্তী নিট লোকসানও কমেছে। এই লোকসানের কারণে বিনিয়োগকারীরা লভ্যাংশ পাননি।
শেয়ারের দাম: ডিএসইতে কেপিপিএলের শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। গত বছরের কিছু সময় শেয়ারের দাম ৯২ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারীতে শেয়ারের দাম ২৬ টাকা থেক ৫৫ টাকায় উঠেছিলো। এই দাম বৃদ্ধির পেছনে কারসাজি থাকার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
ডিএসই'র তদন্ত: কোম্পানির শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি এবং লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধির কারণ জানতে ডিএসই কর্তৃপক্ষ একাধিকবার খুলনা প্রিন্টিংকে চিঠি পাঠিয়েছিল। কোম্পানি কতৃপক্ষ তেমন কোন উত্তর দেয়নি। শেষ পর্যন্ত ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারীতে ডিএসই একটি পরিদর্শন দল কেপিপিএল এর কারখানা পরিদর্শনে পাঠায় এবং কারখানা বন্ধ অবস্থায় পায়। এছাড়াও, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) বিএসইসিকে ঘটনাটি জানিয়েছে। বিএসইসি ঘটনাটি তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছে।
কারখানার অবস্থা: খুলনা প্রিন্টিং এর কারখানা বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। উৎপাদন বন্ধ থাকা সত্ত্বেও শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।