ক্রিকেট ব্যাট

আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:৪৮ পিএম
নামান্তরে:
ব্যাট (ক্রিকেট)
Cricket bat
ক্রিকেট ব্যাট

ক্রিকেট ব্যাট: ক্রিকেটের আবশ্যক উপাদান

ক্রিকেট ব্যাট ক্রিকেট খেলার অন্যতম প্রধান সরঞ্জাম। ব্যাটসম্যানরা বলকে আঘাত করার জন্য এটি ব্যবহার করে। সাধারণত এটি উইলো কাঠ দিয়ে তৈরি হয় এবং একটি সরু হাতল এবং সমতল সম্মুখভাগ থাকে। ব্যাটের দৈর্ঘ্য ৩৮ ইঞ্চি (৯৬.৫ সেমি) এবং প্রস্থ ৪.২৫ ইঞ্চি (১০.৮ সেমি) এর বেশি হতে পারে না। ১৬২৪ সালে এর প্রথম ব্যবহারের উল্লেখ পাওয়া যায়।

ব্যাটের ব্লেড হল কাঠের একটি টুকরো, যার আঘাতকারী অংশ সমতল এবং পেছনের অংশ উঁচু। ঐতিহ্যগতভাবে, এটি 'ক্রিকেট ব্যাট উইলো' নামে পরিচিত এক প্রজাতির সাদা উইলো কাঠ থেকে তৈরি হয় এবং কাঁচা তিসি তেল দিয়ে প্রলেপ দেওয়া হয়। এটি খুব শক্ত এবং আঘাত প্রতিরোধী, এছাড়াও হালকা ওজনের। ব্যাটের ব্যবহারকারীরা প্রায়শই ব্যাটের সম্মুখভাগে প্রতিরক্ষামূলক আচ্ছাদন ব্যবহার করে।

স্বল্প শ্রমমূল্যের কারণে, আধুনিক ব্যাটগুলো সাধারণত ভারত বা পাকিস্তানে হাতে তৈরি হয়। তবে, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডেও কিছু অভিজ্ঞ নির্মাতা রয়েছেন যারা সিএনসি লেদ মেশিন ব্যবহার করে ব্যাট তৈরি করে।

ঐতিহাসিকভাবে, ক্রিকেট ব্যাটের নকশা এবং উপকরণের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। ১৮ শতকের আগে, ব্যাটগুলি আধুনিক হকি স্টিকের মতো ছিল। ১৮৮০-এর দশকে চার্লস রিচার্ডসন উইলো ব্লেডে কেনা হ্যান্ডেল যুক্ত করে বর্তমান নকশা আবিষ্কার করেন। ১৯৭৯ সালে আইন পরিবর্তনের মাধ্যমে ব্যাট কেবল কাঠ দিয়ে তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। বিভিন্ন সংস্থা নতুন নকশা তৈরি করার চেষ্টা করেছে, যেমন শোল্ডারলেস ব্যাট (১৯৬০-এর দশক), ডাবল-সাইডেড ব্যাট (১৯৭০-এর দশক), এবং স্কুপ ব্যাট (১৯৭৪)। অ্যালুমিনিয়াম ব্যাটের ব্যবহারের চেষ্টা (ডেনিস লিলি, ১৯৭৯) ব্যর্থ হয় এবং আইন পরিবর্তন হয়। কার্বন ফাইবার ব্যবহারের চেষ্টাও (২০০৫) ব্যর্থ হয়। ব্যাটের হ্যান্ডলের উপকরণ নিয়েও আইন পরিবর্তন হয়। ২০০৪ সালে Newbery Uzi এবং ২০০৯ সালে Mongoose Mi3 নামে নতুন আকৃতির ব্যাট বাজারে আসে।

কাশ্মীর, পঞ্জাব, হরিয়ানা, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ এবং রাজস্থানে ঐতিহ্যগতভাবে ক্রিকেট ব্যাট তৈরি করা হয়। কাশ্মীরে ব্যাট তৈরির জন্য ১৮২০ সালে ব্রিটিশরা উইলো কাঠ নিয়ে আসে। সাধারণত, ইংলিশ উইলো এবং কাশ্মীর উইলো ব্যবহার করা হয়। ইংলিশ উইলো ব্যাটের চেয়ে কাশ্মীর উইলো ব্যাট সাধারণত সস্তা। গবেষণায় দেখা গেছে, বাঁশের কাঠ দিয়ে তৈরি ক্রিকেট ব্যাট উইলো ব্যাটের চেয়ে শক্তিশালী হতে পারে। কিন্তু বর্তমান আইনের অধীনে বাঁশের ব্যাট ব্যবহার করা বৈধ নয়।

বিভিন্ন সংস্থা বিশাল আকারের ক্রিকেট ব্যাট তৈরি করেছে, যা আনুষ্ঠানিক খেলায় ব্যবহার করা যায় না।

মূল তথ্যাবলী:

  • ক্রিকেট ব্যাট ক্রিকেট খেলার একটি অপরিহার্য সরঞ্জাম।
  • সাধারণত এটি উইলো কাঠ দিয়ে তৈরি হয়।
  • ব্যাটের সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ৩৮ ইঞ্চি এবং প্রস্থ ৪.২৫ ইঞ্চি।
  • ১৬২৪ সালে এর প্রথম ব্যবহারের উল্লেখ পাওয়া যায়।
  • আধুনিক ব্যাটগুলো প্রধানত ভারত ও পাকিস্তানে তৈরি হয়।
  • বিভিন্ন সময়ে ব্যাটের নকশা ও উপকরণের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে।
  • বাঁশ দিয়ে ব্যাট তৈরির গবেষণা চলছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - ক্রিকেট ব্যাট

২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

এই ঘটনা ক্রিকেট ব্যাটকে কেন্দ্র করে ঘটেছে।