বাংলাদেশের পুঁজিবাজার: একটি বিশ্লেষণ
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে পুঁজিবাজারের গুরুত্ব অপরিসীম। এটি এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, সরকার এবং জনসাধারণ তাদের মূলধন বিনিয়োগ ও সংগ্রহ করে। পুঁজিবাজার প্রাথমিক (প্রাইমারি) ও মাধ্যমিক (সেকেন্ডারি) বাজার নিয়ে গঠিত। প্রাথমিক বাজারে নতুন কোম্পানি তাদের শেয়ার ও বন্ড প্রথমবারের জন্য বিক্রি করে, যাকে আইপিও (Initial Public Offering) বলা হয়। মাধ্যমিক বাজারে, বিদ্যমান শেয়ার ও বন্ড বিক্রয় ও ক্রয় হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (DSE) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (CSE) বাংলাদেশের দুটি প্রধান মাধ্যমিক বাজার।
পুঁজিবাজারের প্রধান অংশগ্রহণকারীরা হলেন:
- বিনিয়োগকারী: খুচরা ও প্রাতিষ্ঠানিক উভয় ধরণের বিনিয়োগকারী।
- কোম্পানি: তাদের ব্যবসা পরিচালনার জন্য মূলধন সংগ্রহ করে।
- সরকার: সরকারী ঋণ সংগ্রহ ও বাজেট ঘাটতি পূরণে ব্যবহার করে।
- মধ্যস্থতাকারী: শেয়ার ব্রোকার, ব্যাংক, মিউচুয়াল ফান্ড ইত্যাদি।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (BICM):
বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের দক্ষ জনশক্তি তৈরির জন্য ২০০৮ সালে BICM প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি পুঁজিবাজার সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও ডিপ্লোমা কোর্স পরিচালনা করে। BICM ঢাকায় অবস্থিত।
ক্যাপিটাল মার্কেট লাইন (CML):
পুঁজিবাজারে ঝুঁকি ও রিটার্নের সম্পর্ক প্রকাশ করে CML। এটি বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি ও প্রত্যাশিত রিটার্নের মধ্যে সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
প্রাসঙ্গিক ব্যক্তি ও সংস্থা:
- বিশ্বব্যাংক
- জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচী
- এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক
- বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (BSEC)
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (DSE)
- চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (CSE)
- বাংলাদেশ ব্যাংক
- বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান
- ক্যাপিটাল মার্কেট প্রফেশনালস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (CMPAB)
গুরুত্বপূর্ণ তারিখ:
- ২০০৮: BICM প্রতিষ্ঠা।
- ২০০৯: BICM এর একাডেমিক কার্যক্রম শুরু।
উল্লেখ্য: উপরোক্ত তথ্যগুলি প্রদত্ত লেখা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। পুঁজিবাজার সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য প্রয়োজন হলে পরবর্তীতে আরও তথ্য প্রকাশিত হবে।