কোটা বিলোপ

আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২:৫৭ পিএম

বাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা একটি দীর্ঘস্থায়ী বিতর্কিত বিষয়। স্বাধীনতার পর থেকেই বিভিন্ন শ্রেণির চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা চালু ছিল। মুক্তিযোদ্ধা, নারী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী, এবং জেলাভিত্তিক কোটা ছিল। ২০১৮ সালের আগে মোট ৫৬% কোটা ছিল, যা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা ও আন্দোলন হয়েছিল। শিক্ষার্থীরা যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগের দাবি জানিয়েছিল। সরকার ২০১৮ সালে নবম থেকে ত্রয়োদশ গ্রেডের পদে কোটা বাতিলের পরিপত্র জারি করে। এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে আবারও আন্দোলন শুরু হয়। কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাইকোর্টে রিট করে, যার ফলে হাইকোর্ট ২০২১ সালে কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে। সরকার আপিল করে সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্ট ৯৩% মেধা এবং ৭% কোটার সিদ্ধান্ত দেয়। এই ৭% কোটার মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য স্থান নির্ধারণ করা হয়। কোন কোটার শূন্যপদ মেধাতালিকা থেকে পূরণ করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তবে কোটা সংস্কারের এখতিয়ার সরকারের থাকায় বিতর্ক এখনো অব্যাহত। এই আন্দোলনের কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো ২০১৮ সালের শিক্ষার্থীদের বৃহৎ আন্দোলন, হাইকোর্টের রায়, এবং সুপ্রিম কোর্টের চূড়ান্ত রায়। কোটা ব্যবস্থায় যোগ্যতার সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক ন্যায়বিচারের ধারণাও জড়িত।

মূল তথ্যাবলী:

  • ২০১৮ সালে সরকার নবম থেকে ত্রয়োদশ গ্রেডের পদে কোটা বাতিল করে
  • মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানের রিটের ফলে হাইকোর্ট কোটা পুনর্বহালের রায় দেয়
  • সুপ্রিম কোর্ট ৯৩% মেধা ও ৭% কোটার সিদ্ধান্ত দেয়
  • কোটা সংস্কারের এখতিয়ার সরকারের
  • কোটা আন্দোলন ব্যাপক জনমতের প্রতিক্রিয়া

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - কোটা বিলোপ