কোটা পদ্ধতি

বাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি একটি বহুল আলোচিত বিষয়। ১৯৭২ সালে স্বাধীনতার পর মুক্তিযোদ্ধা, জেলা, নারী, এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য কোটা নির্ধারণের মাধ্যমে এই পদ্ধতির সূচনা হয়। মূল উদ্দেশ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা ব্যক্তি এবং সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত করা। কিন্তু কালক্রমে কোটার পরিধি বৃদ্ধি পেয়ে ৫৬% পর্যন্ত পৌঁছে যায়।

এই উচ্চ কোটা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অসন্তোষ ছিল। ২০১৮ সালে শাহবাগে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হয়। ছাত্র-ছাত্রীরা সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবি জানায়। তীব্র আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর চাকরিতে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন। তবে পরবর্তীতে আদালতের রায়ের ফলে কোটা পদ্ধতি আবারো চালু হয়। বর্তমানে কোটা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা ও বিতর্ক অব্যাহত রয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, কোটা পদ্ধতি সঠিকভাবে পরিচালনা করা প্রয়োজন। কোটা কেবলমাত্র প্রকৃত প্রয়োজনীয়দের জন্য এবং সীমিত পরিসরে বরাদ্দ থাকা উচিত। এছাড়াও, কোটার দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ও এর ফলে সৃষ্ট বৈষম্যের দিক বিবেচনা করা প্রয়োজন।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৯৭২ সালে মুক্তিযোদ্ধা ও অনগ্রসরদের জন্য কোটা ব্যবস্থা চালু
  • কালক্রমে কোটার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ৫৬% পর্যন্ত পৌঁছে
  • ২০১৮ সালে শাহবাগে কোটা সংস্কার আন্দোলন
  • প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর চাকরিতে কোটা বাতিলের ঘোষণা
  • আদালতের রায়ের ফলে কোটা পুনরায় চালু
  • কোটা ব্যবস্থাপনা ও এর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত

গণমাধ্যমে - কোটা পদ্ধতি

২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের জন্য ৫০% এবং অন্যান্য ক্যাডারের জন্য ৫০% কোটা নির্ধারণের প্রস্তাব বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

ক্যাডার কর্মকর্তাদের পদোন্নতিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবি।