কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল (সিপিএইচ) বা রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতাল ঢাকার রাজারবাগে অবস্থিত একটি সরকারি হাসপাতাল। ১৯৫৪ সালে ৭০ শয্যা নিয়ে যাত্রা শুরু করা এই হাসপাতালটি বর্তমানে ৫০০ শয্যার একটি বৃহৎ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। এটি প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্য ও তাদের পরিবারের জন্য চিকিৎসা সেবা প্রদান করে।
১৯৯৭-২০০৫ সালের ‘বাংলাদেশ পুলিশ হাসপাতালসমূহ আধুনিকীকরণ’ প্রকল্পের আওতায় হাসপাতালটির শয্যা সংখ্যা ২৫০-তে উন্নীত করা হয় এবং ২০২১ সালে ৫০০-তে উন্নীত করা হয়। হাসপাতালটিতে অন্তঃবিভাগ, বহির্বিভাগ, জরুরী বিভাগসহ রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং, ল্যাবরেটরি, ইকো-কার্ডিওগ্রাম, ব্লাড ব্যাংক, অপারেশন থিয়েটার, ৪-ডি আল্ট্রাসনোগ্রাম, ডায়ালাইসিস ইউনিট, ডিজিটাল ম্যামোগ্রাফী, ১৬০ স্লাইচ সিটিস্ক্যান, ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন, এমআরআই মেশিন, ইটিটি সুবিধা ইত্যাদি বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে।
২০২০ সালের তথ্য অনুসারে, হাসপাতালে ১২০টি চিকিৎসক পদ ছিল। করোনা মহামারীর সময় কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে সিআইডি ট্রেনিং স্কুল ও সিদ্ধেশ্বরী কলেজসহ বিভিন্ন স্থানেও চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছিল। হাসপাতালটিতে প্লাজমা থেরাপি এবং হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাও প্রদান করা হয়েছিল।
বর্তমানে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যদের জন্য উন্নতমানের চিকিৎসা সেবা প্রদান করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতে এটি আরও উন্নত ও আধুনিক হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।