কেএনইউ

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৮:২৩ এএম

কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ): মিয়ানমারের দীর্ঘদিনের সংগ্রামের ইতিহাস

মিয়ানমারের কারেন জনগোষ্ঠীর স্বশাসনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রামরত একটি প্রধান জাতিগত সংগঠন হল কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ)। ব্রিটিশ শাসনামল থেকেই কারেনদের বার্মিজদের সাথে সম্পর্কের অস্থিরতা ছিল। ১৯৪৮ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে মিয়ানমারের স্বাধীনতা লাভের পর, কারেনরা স্বাধীনতার দাবি তুলে ধরে এবং বার্মিজ সরকারের সাথে সংঘাত শুরু হয়। কেএনইউ'র সামরিক শাখা, কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (কেএনএলএ), ১৯৪৯ সাল থেকে বার্মিজ সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে লিপ্ত।

কেএনইউ'র সংগ্রামের ইতিহাসে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা রয়েছে:

  • ১৯৪৭: কারেন ন্যাশনাল ডিফেন্স অর্গানাইজেশন (কেএনডিও) গঠন, যা পরবর্তীতে কেএনএলএ হিসেবে পরিচিত হয়।
  • ১৯৪৯: কেএনইউ সশস্ত্র সংগ্রামের ঘোষণা। এই সংঘাত বিশ্বের দীর্ঘতম চলমান গৃহযুদ্ধগুলির মধ্যে একটি।
  • ১৯৭৬: কেএনইউ'র নীতি পরিবর্তন, স্বাধীন রাষ্ট্রের পরিবর্তে ফেডারেল ইউনিয়নের দাবি উত্থাপন।
  • ১৯৯৪: ডেমোক্রেটিক কারেন বুদ্ধিস্ট আর্মি (ডিকেবিএ) গঠন, কেএনএলএ থেকে বিচ্ছেদ।
  • ২০০৭: কেএনইউ/কেএনএলএ পিস কাউন্সিল গঠন, কেএনএলএ থেকে বিচ্ছেদ।
  • ২০১৫: কেএনইউ দেশব্যাপী যুদ্ধবিরতি চুক্তি (এনসিএ) স্বাক্ষর করে।
  • ২০২১: মিয়ানমার অভ্যুত্থানের পর কেএনইউ ও মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি এবং সংঘর্ষ। কেএনএলএ মিয়ানমারের বেশ কিছু সামরিক ঘাঁটি দখল করে।

কেএনইউ'র সদর দপ্তর ম্যানারপ্লা, থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছে অবস্থিত। ১৯৯৫ সালে জান্তা বাহিনী ম্যানারপ্লা দখল করে নেয়। তবে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে কেএনইউ'র নেতা সাও থামাইন তুন ম্যানারপ্লার পুনরুদ্ধারের দাবি করেছেন।

কেএনএলএ'র সৈন্য সংখ্যা সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে এর সৈন্য সংখ্যা ছিল ২০০০০, ৩০০০, ৫০০০, ৬০০০, ৭০০০ এবং অনুমান মতে ১৫০০০ এর উপরে।

অনেক বিদেশি স্বেচ্ছাসেবকও কেএনএলএ'র পক্ষে লড়াই করেছে।

আমরা এই প্রতিবেদনটিতে কেএনইউ সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে, আমরা প্রতিবেদনটি আপডেট করব।

মূল তথ্যাবলী:

  • কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ) মিয়ানমারের কারেন জনগোষ্ঠীর স্বশাসনের জন্য লড়াই করে।
  • ১৯৪৯ সাল থেকে কেএনইউ'র সামরিক শাখা কেএনএলএ বার্মিজ সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রামে লিপ্ত।
  • কেএনইউ'র সদর দপ্তর ম্যানারপ্লা, থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছে।
  • ২০১৫ সালে কেএনইউ দেশব্যাপী যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর করে।
  • ২০২১ সালের মিয়ানমার অভ্যুত্থানের পর কেএনইউ ও মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।