মিয়ানমারের কারেন জাতীয় সংগ্রামের প্রধান সংগঠন হল কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ)। ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠনটি কারেন জনগোষ্ঠীর স্বায়ত্তশাসন ও অধিকারের জন্য দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রাম করে আসছে। কেএনইউর সশস্ত্র শাখা হল কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (কেএনএলএ), যারা ১৯৪৯ সাল থেকে বার্মিজ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে।
কেএনইউর ইতিহাস জুড়ে রয়েছে অসংখ্য যুদ্ধ, যুদ্ধবিরতি ও রাজনৈতিক আলোচনা। ১৯৭৬ সালে কেএনইউ একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবি পরিত্যাগ করে এবং ফেডারেল ইউনিয়নের পক্ষে আন্দোলন শুরু করে। ১৯৯৪ সালে কেএনএলএ-এর মধ্যে বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সৈন্যদের মধ্যে মতবিরোধের ফলে ডেমোক্রেটিক কারেন বুদ্ধিস্ট আর্মি (ডিকেবিএ) গঠিত হয়। ২০১৫ সালে কেএনইউ মিয়ানমার সরকারের সাথে দেশব্যাপী যুদ্ধবিরতি চুক্তি (এনসিএ) স্বাক্ষর করে। তবে ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর কেএনইউ ও মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়।
কেএনইউর সংগ্রামে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও স্থান জড়িত। কেএনইউ নেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সাও থামাইন তুন । কারেন রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধ ও সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। এই সংগঠনের কার্যকলাপ থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী এলাকায় ঘনীভূত।
কেএনইউ কেবলমাত্র একটি রাজনৈতিক সংগঠন নয়, এটি কারেন জনগোষ্ঠীর ঐক্য ও সংগ্রামের প্রতীক। তাদের লড়াইয়ে রয়েছে স্বায়ত্তশাসন, স্বাধীনতা, এবং কারেন জনগোষ্ঠীর অধিকার সুরক্ষার আকাঙ্ক্ষা। বর্তমানে মিয়ানমারের রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে কেএনইউর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।