কামারপাড়া, আব্দুল্লাহপুর ও উত্তরা: টঙ্গী ইজতেমা সংঘর্ষের প্রেক্ষাপটে নিষেধাজ্ঞা ও এর প্রত্যাহার
গত ১৮ ডিসেম্বর, টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দান দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার পর, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কামারপাড়া, আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা সেক্টর-১০ এবং তৎসংলগ্ন তুরাগ নদীর দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকায় সভা-সমাবেশ ও যেকোন ধরনের বিক্ষোভে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এই নিষেধাজ্ঞা ১৬ দিন পর, ৩ জানুয়ারী, প্রত্যাহার করা হয়।
সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন নিহত এবং অনেকে আহত হন। নিহতদের মধ্যে ছিলেন আমিনুল হক বাচ্চু মিয়া, বেলাল হোসেন এবং তাজুল ইসলাম। সংঘর্ষের কারণ ছিল বিশ্ব ইজতেমার আগে জোড় ইজতেমা করার জন্য সাদ অনুসারীদের ইজতেমা ময়দানে প্রবেশের চেষ্টা। জুবায়ের অনুসারীরা ইজতেমা ময়দান দখল করে রেখেছিল। এই দখলদারিত্ব এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল, ফলে ডিএমপি নিরাপত্তার স্বার্থে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
নিষেধাজ্ঞার সময় কামারপাড়া, আব্দুল্লাহপুর এবং উত্তরা সেক্টর-১০ এলাকায় সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ ইত্যাদি সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ছিল। তবে পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পর, ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। এই ঘটনা কেবলমাত্র কামারপাড়া, আব্দুল্লাহপুর ও উত্তরা এলাকায় সীমাবদ্ধ ছিল না; টঙ্গী, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক এবং গাজীপুর পর্যন্ত এর প্রভাব পড়েছিল।