কর্ণাটক, ভারত

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৭:৪৯ পিএম
নামান্তরে:
কর্ণাটক ভারত
কর্ণাটক, ভারত

কর্ণাটক, ভারতের একটি রাজ্য, যা দক্ষিণ-পশ্চিম ভারতে অবস্থিত। ১৯৫৬ সালের ১ নভেম্বর রাজ্য পুনর্গঠন আইনের মাধ্যমে এই রাজ্যের সৃষ্টি হয়, যার আগে এর নাম ছিল মহীশূর রাজ্য। ১৯৭৩ সালে এর নাম পরিবর্তন করে কর্ণাটক রাখা হয়।

ভৌগোলিক অবস্থান:

কর্ণাটকের পশ্চিমে আরব সাগর, উত্তর-পশ্চিমে গোয়া, উত্তরে মহারাষ্ট্র, পূর্বে অন্ধ্রপ্রদেশ, দক্ষিণ-পূর্বে তামিলনাড়ু এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে কেরল অবস্থিত। রাজ্যের আয়তন ১,৯১,৯৭৬ বর্গকিলোমিটার। কৃষ্ণা ও কাবেরী নদী কর্ণাটকের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

জনসংখ্যা:

জনসংখ্যার দিক থেকে কর্ণাটক ভারতের নবম বৃহত্তম রাজ্য। ২০১১ সালের জনগণনার তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যের জনসংখ্যা প্রায় ৬ কোটি। কন্নড় এই রাজ্যের সরকারি ভাষা।

অর্থনীতি:

কর্ণাটক ভারতের একটি অগ্রণী বাণিজ্যিক এবং প্রযুক্তি কেন্দ্র। বেঙ্গালুরু, কর্ণাটকের রাজধানী, একটি প্রধান বাণিজ্যিক ও আইটি হাব।

ঐতিহাসিক তথ্য:

কর্ণাটকের ইতিহাস অতি প্রাচীন। এখানে প্রাচীন প্রস্তর যুগের নানা নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে। প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় ভারতের একাধিক শক্তিশালী সাম্রাজ্যের কেন্দ্র ছিল এই রাজ্য। বিজয়নগর সাম্রাজ্য কর্ণাটকের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।

বিখ্যাত স্থান:

বেঙ্গালুরুর পাশাপাশি মহীশূর, হাম্পি, কুর্গ, গোকর্ণ, ম্যাঙ্গালোর, চিকমাগালুর, উদুপি, শিমোগা, নাগারহোল, বান্দিপুর ইত্যাদি অনেক দর্শনীয় স্থান কর্ণাটকে অবস্থিত।

মূল তথ্যাবলী:

  • কর্ণাটক ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত একটি রাজ্য।
  • ১৯৫৬ সালে রাজ্য পুনর্গঠন আইনের মাধ্যমে এর সৃষ্টি হয়।
  • বেঙ্গালুরু কর্ণাটকের রাজধানী এবং আইটি হাব।
  • কন্নড় এখানকার সরকারি ভাষা।
  • কর্ণাটকের ইতিহাস প্রাচীন এবং সমৃদ্ধ।
  • মহীশূর, হাম্পি, কুর্গ, গোকর্ণ, ম্যাঙ্গালোর প্রমুখ দর্শনীয় স্থান কর্ণাটকে অবস্থিত।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।